কলকাতা: প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারেননি, গৃহবন্দি হয়েই তিনি দেখেছেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের (Shayantan Mukherjee) নতুন ছবি 'ঝরা পালক' (Jhora Palok)। আর তারপর কবির মনে হয়েছিল, বাংলা চলচ্চিত্র এই প্রথম শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল জীবনানন্দ দাশকে (Jibonanands Das)। ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আর জয়া আহসান (Jaya Ahsaan)। ঝরা পালক দেখার পর নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিলেন কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami)।


কবি বলছেন, 'আমি প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারিনি ছবিটি দেখতে। কিন্তু ছবি পরিচালক নিজেই আমায় এই ছবিটি পাঠিয়েছিলেন। ছবিটি জীবনানন্দ দাশের জীবনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। আমি যে চলচ্চিত্র বুঝি তেমন নয়। তবু বলছি, এই ছবিটির মাধ্যমে প্রথম কবি জীবনানন্দ দাশকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হল। জীবনানন্দ দাশের উপন্যাস নিয়ে অন্তত ২টি নাটক কলকাতায় মঞ্চস্থ হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রে জীবননানন্দ দাশের জীবনকে এই প্রথম ধরা হল। আমার মতে চলচ্চিত্র তো একটি শিল্প। আমার মতে সাহিত্য শিল্পের, কাব্যশিল্পের প্রতি বাংলা চলচ্চিত্রের এই প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন। এই ছবিতে ট্রামের ব্যবহার আমায় খুব ধাক্কা দিয়েছে।'


আরও পড়ুন: Pankaj Tripathi: সৃজিতের শহরে পঙ্কজ, কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকায় মজলেন 'শেরদিল'


এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন ব্রাত্য বসু। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। পরিচালক বলছেন, 'এই ছবিটা নিয়ে সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী ব্রাত্যদা আর জয়া। ব্রাত্যদা এই ছবিতে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমন ভবিষ্যতে আর করতে পারবেন কি না জানি না। জয়াও এই ছবিটা নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। জয় গোস্বামী এই ছবিটা ৩ বার দেখে বলেছিলেন, এই ছবি অবশ্যই দর্শকদের কাছে পৌঁছনো উচিত। অনেক গুণী মানুষদের প্রশংসা নিয়ে, আশা নিয়েই ছবি মুক্তি পাচ্ছে। 


প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা কতটা স্বাস্থ্যকর? পরিচালক বলছেন, 'আমার মনে হয় এটা ভীষণ ভালো। করোনার পর আমরা ভেবেছিলাম বাংলা ছবি হয়ত ঘুরে দাঁড়াতেই পারবে না। কিন্তু আবার যে 'টনিক', 'কিশমিশ', 'রাবণ', 'অপরাজিত' দেখতে যে দর্শক হলমুখী হচ্ছে, সেটা অবশ্যই খুব ভালো একটা বিষয়।'