অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: সন্ধে হলেই আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকে গোটা গ্রাম। গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চিতাবাঘের দাপট চলছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। কিন্তু বনদফতরকে বলেও চিতাবাঘ ধরা পড়েনি বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থানার অন্তর্গত পূর্বকাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিলবাড়িহাট ঘাটপার গ্রাম।  


হুমকি বাসিন্দাদের:
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বনদফতর চিতাবাঘ  (Leopard) না ধরলে প্রাণীটিকে পিটিয়ে মারার হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় চিতাবাঘের আক্রমনে জখম হয়েছেন প্রায় ১০ জন। যার ফলে আতঙ্কে গোটা গ্রাম। বনদফতর নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।


কী অভিযোগ:
রবিবার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল সালাম চৌধুরির বাড়ির পুকুরপারে চিতাবাঘ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেখানে সজনে পাতা নিতে এসেছিলেন রেজিনা বিবি। তখন তাঁর উপর চিতাবাঘ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চিতাবাঘের হামলায় মারাত্মক জখম হন রেজিনা। তারপর থেকেই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। গুরুতর জখম রেজিনাকে প্রথমে শিলবাড়িহাট প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনার খবরে পৌঁছতেই এলাকায় আসে জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের বনবিভাগের কর্মীরা। অভিযোগ, তাঁরা নাকি বিষয়টিকে পাগলা কুকুরের কান্ড ভেবে এড়িয়ে যান। তারপরেই একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। তাতে নাকি একজন বনকর্মী-সহ আরও ছয়জন স্থানীয় মানুষ জখম হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই গুরুতর জখম অবস্থায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর ফলেই এলাকায় ছড়িয়েছ আতঙ্ক। পাশাপাশি চিতাবাঘ ধরা না পড়ায় ছড়িয়েছে ক্ষোভও।


এরপর বনদফতরের তরফে নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা। ছাগল টোপ দিয়ে খাঁচা রাখা হয়েছে। কিন্তু সারা রাতেও ধরা পড়েনি চিতাবাঘ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় রাতে চিতাবাঘের হুঙ্কারও শোনা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: পূর্বাঞ্চলে ট্রেন চালাতে আগ্রহী নয় কোনও বেসরকারি সংস্থা! চিন্তায় রেল