মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়রা আদালত বলিউড অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় ২৭ বছরের অভিনেতার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আঅভিনেতা নিজেকে এই মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
পাঞ্চোলির উকিল বলেছেন, সুরজ নিজেকে নির্দোষ বলেছেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের কাজ ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
চার্জশিট অনুযায়ী, জিয়া খানকে ২০১৩-র ৩ জুন নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। এর আগে গত দুদিন তিনি সুরজের বাড়িতেই ছিলেন এবং ঘটনার দিন সকালে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন।


এর আগে জিয়া ও সুরজের মধ্যে শেষ কথাবার্তা প্রকাশ্যে আসে বলে দাবি করা হয়। ২০১৫-তে একটি সংবাদপত্রে জিয়ার আত্মহত্যার এক ঘন্টা আগে দুজনের কথোপকথন ফাঁস করা হয়।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দুজনের কথোপকথন-
10:56 pm - Cal if u wanna talk
10:56 pm - Leave
10:57 pm - You just made my life a prison realy just wanted to eat food with K*** meet n**** and give her your new order..U f****** creep u spy on my shady f******* person! How will we ever work if you do this s***...I always trust you blindly.. Please leave me alone!
10:57 pm - U f***** it up for u!
10:58 pm - I am very unhappy
11:03 pm - U think I f****** am jealous of your success hahahahaha! F****** un greatful person
11:03 pm - Talk to n**** and find out for yourself what happened! I..wanted to surprise u on Thursday thanks for f****** it up…when u find out the truth talk to me before that don’t even think about it…how cud u spy on me! With n****! this is f***** up!
11:08 pm - call asap its urgent
11:21 pm - cal me now
11:21 pm - i wanna talk to u asap
এই কথোপকথনের কয়েক ঘন্টা বাদেই জিয়া খান আত্মহত্যা করেন বলে দাবি।
২০১৩-র অক্টোবরে জিয়ার মা সাবিয়া খান বম্বে হাইকোর্টে মেয়ের মৃত্যু সম্পর্কে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। এরই ভিত্তিতে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুরজকে ২০১৩-র ৩ জুন জিয়ার আত্মহত্যার পর ২০১৩-র ১০ জুন গ্রেফতার করা হয়।২০১৩-র জুলাইতে জামিন পান তিনি।