মুম্বই:  আলিবাগের বাংলো নিয়ে বেকায়দায় বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। তাঁর বাংলোটিকে বেআইনি সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতর এই মর্মে নোটিসও জারি করেছে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, গতমাসে আলিবাগে শাহরুখের দে জা ভু ফার্মের নামে বেনামী সম্পত্তির নোটিস জারি করে আয়কর। যে সংস্থার অধীনে এই খামার বাড়িটি রয়েছে, সেই সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ এই সম্পত্তিটি নথিভূক্ত হয়। সম্পত্তির ডিরেক্টররে পদে বর্তমানে নাম রয়েছে নমিতা ছিবা, রমেশ ছিবা এবং সবিতা ছিবার। জমিটি মূলত চাষের জমি ছিল। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে বর্তমানে শাহরুখের বাংলোটি দাঁড়িয়ে রয়েছে যে চারটি প্লটের ওপর সেগুলো হল (১১৮/১/এ অ্যান্ড বি, ১৮৮/২, ১৮৮/৩, ১৮৮/৪)। বাংলোটি রয়েছে থল গ্রামে এবং আগে সম্পত্তির মালিকের জায়গায় নাম ছিল দে জা ভু ফার্মের অন্যতম ডিরেক্টর মোরেশ্বর আজগাঁওকর। পরে সম্পত্তিটি হস্তান্তর হয়ে যায়।

শাহরুখের খামার বাড়িটি রয়েছে ১৯, ৯৬০ স্ক্যোয়ার মিটার এলাকা জুড়ে। সেখানে রয়েছে একটি সুইমিং পুল এবং ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড। প্রসঙ্গত, বাদশা দে জা ভু ফার্মকে মোট ৮.৫ কোটির অসুরক্ষিত ঋণ দিয়েছিলেন। তথ্য দেখাচ্ছে সেই টাকা জমি কিনতে ব্যবহার করে দে জা ভু। কিন্তু থল গ্রামের ওই জমি মূলত চাষের জমি, এবং ওখানে চাষের কাজই করার কথা। সেই হিসেবে জমির মালিক মোরেশ্বর আজগাঁওকরও একজন চাষা ছিলেন। এমনকি জমিটি এই মর্মেই হস্তান্তরিত হয় যে আগামী তিন বছরের মধ্যে জমিটি চাষের কাজেই ব্যবহার করা হবে।

২০১১ সালে আজগাঁওকরের বদলে দে জা ভু-র ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন নমিতা ছিবা। প্রসঙ্গত, রমেশ ছিবা, সবিতা ছিবা, নমিতা ছিবা হলেন শাহরুখ খানের শ্বশুর, শাশুড়ি এবং শ্যালিকা, খবর আয়কর দফতর সূত্রে।

আলিবাগের তহেসিলদারের দফতর খতিয়ে দেখেছে ওই জমিতে সুইমিং পুলটিও বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবেই তৈরি করা হয়েছে। সেই জন্যে সিআরজেড নিয়মও লঙ্ঘন করা হয়। সিআরজেড আইন লঙ্ঘনের জন্যেও নোটিস জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রায়গড়ের কালেক্টর ডক্টর বিজয় সূর্যবংশী জানিয়েছিলেন, আলিবাগের ৮৭টি বাংলো যেগুলো বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে শাহরুখের বাংলো। এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে শাহরুখের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।