নয়াদিল্লি: নয় বছর পুরনো কেসের পুনরায় তদন্ত শুরু করার আবেদন খারিজ করল আদালত। বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan), অভিযোগ যিনি আত্মহত্যা করেছিলেন, তাঁর মা রাবিয়া খান (Rabia Khan), সেই কেস পুনরায় চালু করার আবেদন জানান। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট (The Bombay High Court)।


রাবিয়া খানের আবেদন খারিজ


বিচারপতি এ এস গড়কড়ি (A S Gadkari) এবং এম এন যাদবের (M N Jadhav) একটি ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থার উপর তাদের বিশ্বাস রয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) (Central Bureau of Investigation) যা অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি (Sooraj Pancholi), জিয়া খানের তৎকালীন প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দায়ী করে। ২০১৩ সালের ৩ জুন, মুম্বইয়ের বাড়িতে জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।


হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে রাবিয়া খান এই গোটা ঘটনার নতুন করে তদন্ত শুরুর আবেদন জানান। ইউনাইটেড স্টেটের ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (Federal Bureau of Investigation) সাহায্যে স্বাধীন ও স্পেশাল এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করানোর অনুমতি চান তিনি।


রাবিয়া খানের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবী শেখর জগতাপ এবং সাইরুচিতা চৌধুরী যুক্তি দিয়েছিলেন যে মামলাটি প্রথমে মুম্বই পুলিশ দ্বারা তদন্ত শুরু হয় এবং "কিছু ত্রুটি এবং ভুল পদ্ধতির" লক্ষ্য করা গেলে রাবিয়া খান হাইকোর্টে যান এবং তারপরে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তদন্তটি সিবিআই-এর কাছে স্থানান্তরিত হয়। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থাও সেই একই 'ভুল' করে এবং তাই এই মামলার পুনরায় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।


আরও পড়ুন: ‘Brahmastra' Box Office Collection Day 4: চতুর্থ দিনেও পরীক্ষায় পাস, 'ব্রহ্মাস্ত্র' ছবির হাত ধরে বলিউডের লক্ষ্মীলাভ


আদালত উল্লেখ করেছে যে আবেদনকারী এমন একটি আবেদন করে তাঁর নিজের মামলাকে নিজেই দুর্বল করছেন। সিবিআইয়ের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট সন্দেশ পাতিল আদালতকে জানিয়েছিলেন যে প্রধান সংস্থা মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেছে। ওই বেঞ্চ রাবিয়া খানের আবেদন খারিজ করে বলেছে বিস্তারিত অর্ডার দেওয়া হবে।


গত মাসেই মুম্বই আদালতের কাছে প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মা রাবিয়া খান দাবি করেন যে, অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি জিয়াকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাঁর কন্যা জিয়া সূরজের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন সেই কারণেই। দিনের পর দিন অভিনেত্রীকে এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হত বলে।