কলকাতা: একসময় বাড়িতে খুব বড় করে সরস্বতী পুজো হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটু ফিকে হয়েছে সেই পুজোর জৌলুস। তবে ছোট সেই সরস্বতী পুজোয় যেন বেড়েছে আন্তরিকতা। আপাতত বাড়ির সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব দুই ছোট্ট মেয়ের কাঁধে। তাদের একজনের বয়স ৯, অন্যজন ১৬। তারাই পুজো করে নিজের হাতে। আর বাবা হিসেবে পিছনে দাঁড়িয়ে সেই পুজো দেখতে বেশ লাগে অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তর (Jisshu Sengupta)। 


গতকালই মুক্তি পেয়েছে যীশুর নতুন ছবি 'বাবা বেবি ও' (Baba, Baby, O)। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) আগের সন্ধেয় প্রিমিয়ারের ব্যস্ততায় কেটেছে যীশুর। সেখান থেকে একটুকরো সময় বের করে এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডা জমিয়েছিলেন অভিনেতা। কেমন কাটত পর্দার 'মেঘ রোদ্দুর'-এর ছোটবেলার সরস্বতী পুজো? যীশু বলছেন, আমার মা-বাবা বেঁচে থাকতে খুব বড় করে সরস্বতী পুজো হত। যখন অফিস ছিল তখনও বড় করে আয়োজন হত বাগদেবীর পুজোর। এখন বাড়িতে অনেক পুজো হয় বলে সরস্বতী পুজোর আড়ম্বর কমেছে। আমার দুই মেয়েই এখন বাড়িতে পুজোর আয়োজন করে। একজনের বয়স ৯, অন্যজন ১৬। জোগাড় থেকে শুরু করে পুজো, ওরাই একা হাতে আয়োজন করে সব। মা-বাবা হিসেবে পিছনে দাঁড়িয়ে সেই পুজো দেখতে আমাদের দারুণ লাগে। এর থেকে আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না।'


আরও পড়ুন: Shiboprosad Mukherjee Exclusive: সরস্বতী পুজো মানে পছন্দের মেয়েটির হাতে অঞ্জলির ফুল তুলে দেওয়া


সরস্বতী পুজোর কথা উঠবে আর আড্ডায় প্রেমের প্রসঙ্গ আসবে না তাও কি হয়! বসন্ত পঞ্চমীতে যীশুর জীবনে বসন্ত এসেছে কখনও? হাসতে হাসতে যীশু বললেন, 'আমার তো এখনও ভালো লাগে। সরস্বতী পুজোয় তাই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরবো না, যদি কাউকে ভালো লেগে যায়!' হাসি সামলাতে একবার কালো ফ্রেমের চশমা সামলে নিলেন যীশু। তারপর বললেন, 'মজা করছিলাম। ঠিক সরস্বতী পুজোয় আমার কাউকে ভালো লেগেছে কী না মনে পড়ে না। কিন্তু আমাদের পাড়ায় একটা কথার চল ছিল খুব। পুজোবার্ষিকী প্রেম। আমার দুই কাছের বন্ধুর প্রত্যেক দুর্গাপুজোয় একটা করে নতুন প্রেম হত। সেটা নিয়ে খুব রাগানো হত তাদের। তবে আমার এমন প্রেম হয়নি কখনও। তবে স্কুল জীবনে তো সবাই স্কুলের পোষাক পরে সারা বছর। একদিন শাড়ি-পাঞ্জাবিতে দেখলে সবাইকেই অন্যরকম লাগে। মনে হয়, একে এরকম দেখতে নাকি! এই বয়সে এসে সেটা বুঝতে পারি। তখন না বুঝে ভালো লাগত, এখন বুঝে ভালো লাগে।' এখনও সুযোগ পেলে প্রেমে পড়তে চাইবেন যীশু সেনগুপ্ত? কপোট গাম্ভীর্য দেখিয়ে যীশু বললেন, 'এখন প্রেমে পড়লে আমার বউ ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবে। সুতরাং আমি ওই ঝুঁকিটাই আমি নেব না। আর প্রেমে পড়লেও কাউকে বলব না।'