কলকাতা: খুব শীঘ্রই ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে (Klikk OTT Platform) মুক্তি পেতে চলেছে 'জনি বনি' (Johny Bonny)। অভিজিৎ চৌধুরী (Abhijit Chowdhury) পরিচালিত এই সিরিজ বলবে এক পুলিশ অফিসার ও দাবাড়ুর গল্প। শহরে হয়ে গেল ট্রেলার লঞ্চ (Trailer Launch) অনুষ্ঠান।


'জনি বনি'র ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট


প্রকাশ্যে এসেছে 'জনি বনি'র ট্রেলার। সাংবাদিক সম্মেলন করে হয়ে গেল ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান। ইভেন্টে হাজির ছিলেন সিরিজের কলাকুশলীরা। ইভেন্টে বিশেষ ড্রেস-কোডও রাখা হয়, সাদা ও কালো পোশাক। সকলেই সেই মেনে সেজে এসেছিলেন। এক ঝটকায় দাবার বোর্ডের সাদা-কালো কম্বিনেশনের কথা মনে হতে পারে। আর এই ছবিতে দাবার এক বড় অবদান রয়েছে।


ট্রেলারের শুরুতেই শোনা যাচ্ছে একটা ফোন বাজছে। আর ট্রেলারের শেষে যে ফোন তুললেন তাঁর পরিচয় মিলছে। তার মাঝেই গোটা সিরিজের টানটান রহস্যের কয়েক ঝলক দেখা গেল। সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে, দেবাশিস মণ্ডল, স্বস্তিকা দত্ত, অঙ্কিত মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, লোকনাথ দে, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যুধাজিৎ সরকার, শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, জয়তী চক্রবর্তী, অভ্যুদয় দে এবং তুষিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


পরিচালকের কথায়, 'জনার্দন আর বনির এক সফরের গল্প বলবে এই সিরিজ।' দেবাশিষ বলছেন, 'ক্লিকের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। এমনকী স্বস্তিকা ও অভিজিতের সঙ্গেও এই প্রথম কাজ। ফলে খুবই উত্তেজিত। খুব খেটে সিরিজটা তৈরি করেছি।' কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে এই সিরিজে এক রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে দেখা যাবে। 'আমার চরিত্রের নাম প্রমোদ সেন। যে দাবা খেলতে ভালবাসে।' বলাই বাহুল্য এই সিরিজে ক্রাইম, পুলিশ, রাজনীতি আর দাবার চাল সব মিলেমিশে একাকার হবে।


 






গল্পের প্রেক্ষাপট


তরুণ পুলিশ অফিসার জনার্দন দাস ওরফে জনি চায় বড় কোনও কেসের তদন্তের দায়িত্ব পেতে। তবে বড় কেস তো দূর, জনির পোস্টিং হয় স্থানীয় রাজনীতিক প্রমোদ সেনের বাড়ির নিরাপত্তার তদারকির দায়িত্বে। প্রমোদ সেনের স্ত্রী সুরমা, জনিকে বাড়ির ছেলের মতো ভালবাসেন বলে দাবি করেন। প্রমোদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও, বাড়ির বাজার করা থেকে পোষ্য কুকুরের দেখাশোনা, সবরকমের গৃহস্থলীর কাজ করাই জনির প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও জনি কিছুতেই থানা থেকে ডিউটি বদল করতে পারে না। এমনকী জনিকে নিজের স্ত্রী আঁখির কাছেও ডিউটি নিয়ে মিথ্যা গল্প বলতে হয়, কারণ আর যাই ঘটে যাক না কেন জনি কিছুতেই আঁখির চোখে ছোটো হতে চায় না।


এর মধ্যে আঁখির দিদির ছেলে, তেরো বছরের বনি, দুর্গাপুরে ওর বাড়ি থেকে পালিয়ে, জনার্দনদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। কলকাতায় সে একটা দাবার টুর্নামেন্ট খেলতে চায়। জনি এবং বনির মধ্যে সম্পর্কটা একটু গোলমেলে, অনেকটা টম অ্যান্ড জেরির মতো। জনি চায় বনি বড়দের শাসন মেনে কাজ করুক। কিন্তু বনি কিছুতেই বিশ্বাস করে না ছোটরা বড়দের থেকে কম বোঝে। জনি আঁখিকে ডিউটি নিয়ে যাইই গল্প দিতে যায়, বনি সেগুলো আষাঢ়ে গল্প বলে ঘোষণা করে।


এরপর জনির ভাগ্যচক্রে হঠাৎ পরিবর্তন আসে যখন তিনজন দুষ্কৃতী প্রমোদ সেনের বাড়িতে অকস্মাৎ হামলা করে। জনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজে গুলি খেয়ে প্রমোদ সেনদের বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে প্রমোদ সেনের মেয়ে রিমিরও খোঁজ পাওয়া যায় না। জনি সেই কেসের তদন্তের দায়িত্ব পায়। জনি তদন্ত করতে শুরু করে ক্রমশ বুঝতে পারে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী কিছু মানুষ গোটা ঘটনাটার সঙ্গে জড়িয়ে এবং লোকাল থানা আসলে চায় না কেসটার সমাধান হোক। একইসঙ্গে বনির দাবা টুর্নামেন্ট শুরু হয়।



আরও পড়ুন: Allu Arjun: 'পুষ্পা' ছবিতে কেন একটা কাঁধ তুলে হাঁটেন আল্লু অর্জুন? জানা গেল আসল কারণ


জনি কি পারবে তার কেরিয়ারের প্রথম কেস সমাধান করতে? বনি কি পারবে দাবা টুর্নামেন্টে জিতে নিজেকে প্রমাণ করতে? নাকি দুজনকে লক্ষ্য পূরণ করতে একে অন্যের সাহায্য নিতে হবে। পরতে পরতে রহস্য, দাবার চাল, অলীক স্বপ্ন ছুঁতে চাওয়া এক পুলিশ অফিসার এবং এক কিশোরের আখ্যান নিয়েই গল্প 'জনি বনি'।