কলকাতা: কেকে-র হোটেলের রুম থেকে মিলল গ্যাসট্রিক ও লিভারের ওষুধ। ১০টি ওষুধ পাওয়া গেলেও মেলেনি কোনও প্রেসক্রিপশন, খবর পুলিশ সূত্রে।
আজ কে কে-র হোটেলের ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন ওষুধ। কে কে-র পরিবার সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, হজমের সমস্যা মনে করে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেতেন কে কে। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেতেন কে কে। ১০টি ওষুধ পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি কোনও প্রেসক্রিপশন, জানানো হয় পুলিশের তরফে। ‘৩১ মে-র রাতে এই হোটেলের ঘরেই ঢুকে পড়ে যান কে কে।
অনুষ্ঠানের পরে নজরুল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গাড়িতে যেতে যেতেই বেশ অসুস্থবোধ করছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। গাড়িতে যেতে যেতে বলেছিলেন, 'শীত করছে'। নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল গাড়ির এসি। হাতে পায়ে ক্র্যাম্প ধরছিল কে কে-র। কিন্তু তবুও চিকিৎসকদের কাছে না গিয়ে গ্র্যান্ড হোটেলেই ফেরেন কে কে। সেখানে পৌঁছে কয়েকজন অনুরাগীর সঙ্গে সেলফির আবদারও মেটান কে কে। তারপর লিফটে করে নিজের ঘরে যান।
আরও পড়ুন: Swastika on KK: 'কারও উত্তর দেওয়ার কোনও দায় নেই!' কেকে-র মৃত্যুতে লিখছেন স্বস্তিকা
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লিফটেই মাথা ঝুঁকে পড়েছিল কে কে-র। লবি দিয়ে নিজের ঘরের দিকে যান কে কে। কিন্তু এরপর? কে কে-র সঙ্গীর দাবি, ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান কে কে। মাথা ঠুকে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি হোটেলের ফ্লোর ম্যানেজারকে ডাকেন কে কে-র ম্যানেজার। ২জনে মিলে তুলতে না পেরে ডাকা হয় আরও ২জনকে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করা হয় অনকল চিকিৎসককে। হার্ট অ্যাটাক বলে সন্দেহ করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক।
তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সঙ্গীতশিল্পীকে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স কই? হোটেলে তখন মজুত ছিল না অ্যাম্বুল্যান্স। অগত্যা গাড়ি করে সিএমআরআই-তে নিয়ে যাওয়া হয় কে কে-কে।
হাসপাতাল অবধি পৌঁছে আর সুস্থ হওয়া হল না কে কে-র। সঙ্গীতশিল্পী যখন সিএমআরআই-তে পৌঁছলেন, তখন তাঁর শরীরে আর প্রাণ নেই। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, আর কিছু করার নেই।