কলকাতা: তাঁর মোবাইল ফোনের কভারের ভিতর রাখা আয়া সেন্টারের কার্ড। জীবনের সবটাই এখন আবর্তিত হচ্ছে মেয়ে কৃষভিকে ঘিরে। তার মধ্যেই. বাড়িতে একরত্তি সেই মেয়েকে ছেড়ে বাইরে সাক্ষাৎকার দিতে বেরনো তো সহজ নয়। যদিও সে এখনও বুঝতে শেখেনি, মা তাকে ছেড়ে বাইরে যাচ্ছে। কিন্ত আরও বড় হলে মেয়ে যখন বুঝতে শিখবে তখন? কাজ করবেন কী করে? স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mallick) সঙ্গে সেই আলোচনাই এখন এখন মাঝে মাঝে করেন শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chottoraj)। তবে তার পাশাপাশি, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন মাতৃত্বকে। এই বছরটা তাঁদের জীবনে অনেক ওঠাপড়া গিয়েছে। কেমন কাটল ফেলে আসা গোটা বছরটা। ডিসেম্বরে এসে কাঞ্চন-শ্রীময়ী একবার পিছন ফিরে দেখলেন তাঁদের জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে স্মরণীয় বছরটাকে। সাক্ষী রইল এবিপি লাইভ বাংলা (ABP Live Bangla)। 


এখন ফিরে দেখলে মনে হয়, এই সালটার অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত তাঁদের বিয়ে। কাঞ্চন বলছেন, 'এই গোটা বছরে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। একটা মনে পড়ে, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতের কথা। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করি। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আমায় একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'কাল কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি। কাল আমাদের রেজিস্ট্রি। একবার ভেবে দেখো কিন্তু। তোমায় একবার ভাবার সুযোগ দিলাম'। কাঞ্চনের কথার সূত্র ধরে শ্রীময়ী কৌতুহল নিরসন করলেন নিজেই। বললেন, 'এতবার ধরে আমায় শুনতে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করছো, তুমি লোকের ঘর ভেঙেছো... আমার মনে হয় বিবাহিত পুরুষকে দোষারোপ করা খুব সহজ। মানুষ তো ভীষণ বিচার করতে বসে যায়। আমি তো নতুনভাবে শুরু করছি। কিন্তু আমার এখনও খারাপ লাগে, কাঞ্চনকে শুনতে হয়, আপনি তো তিনবার, চারবার বিয়ে করেছেন। যাঁরা আসলে বিয়ে করেছেন, তাঁরাই একমাত্র জানেন তাঁরা কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আমার মনে হয় একটা তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নিজের মতো করে বাঁচার, শ্বাস নেওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। সেটা আপনি ঠিক করে দেওয়ার কেউ নয়। আর আমি বিশ্বাস করি, 'জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে' কিন্তু আমি ওকে প্রশ্নটা করেছিলাম তার কারণ আমি চাইনি আমার সঙ্গে সম্পর্কে নাম জড়িয়েছে বলে, আমায় একটা জায়গা থেকে বাঁচানোর জন্য চাপে পড়ে বিয়েটা করতেই হবে। তৃতীয় বা চতুর্থবার যেটাই হোক, সঙ্গী হিসেবে আমার জানা উচিত ছিল, কাঞ্চনের মধ্যে কোনও দোষারোপ কাজ করছে না তো?' শ্রীময়ীর কথা শেষ হতে না হতেই আলতো হাতে তাঁর পিঠ চাপড়ে দিলেন কাঞ্চন।


কেবল এই একটাই যে স্মরণীয় মুহূর্ত তা নয়, কাঞ্চন বলেন, 'প্রথম যে দিন কৃষভি আসার খবর জানতে পারি..' শ্রীময়ী যোগ করেন, 'বিয়ের ঠিক ২১ দিনের মাথায় জানতে পারি, আমি অন্তঃসত্ত্বা।' কাঞ্চন মুখে হাসি নিয়ে বললেন, 'আর মনে থাকবে ২ নভেম্বরটা। কৃষভির জন্মের দিন। যেদিন ওটিতে আমি ওর হাত ধরে ছিলাম।'



আরও পড়ুন: Allu Arjun: বাদ গেল ১৯ মিনিটের দৃশ্য, এত কী আপত্তিকর ছিল অল্লু অর্জুনের 'পুষ্পা ২'-তে?