মুম্বই:  কঙ্গনা রানাউত, এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে লড়াই, স্পষ্টবাদিতা, অভিনয়ে অভিনবত্ব, বিতর্ক,  বলিউডে ভিন্নধারার ছবির আগমণ। তবে এই কোনও কিছুই একদিনের প্রাপ্তি নয়। কঙ্গনার দীর্ঘ লড়াই তাঁকে এভাবে তৈরি করেছে। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, প্রেমপত্র লেখার সময়, ব্লাইন্ড ডেটে যাওয়ার বয়সে তিনি তাঁর জীবনযুদ্ধ শুরু করেছিলেন।

কঙ্গনা জানান, তাঁর কিশোর বয়সে যখন সবাই প্রেম করে ঘুরে বেড়াতেন, তখন তিনি দীর্ঘসময় ধরে কাজ করতেন। আর তাঁর পাশে থাকতেন মহেশ ভট্টের মতো শিক্ষিত, প্রতিভাবান মানুষরা। খেলা, অবসর সময় কাটানো এগুলোর তাঁর জীবনে কার্যত কোনও অস্তিত্বই ছিল না। মাত্র সতেরো বছর বয়সই তিনি ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’, নামক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। এমনকি তাঁর জীবনের এই লড়াইয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি তাঁর পরিবারও। বাড়ি ছেড়ে অনেক ছোট বয়সে কঙ্গনা চলে এসে ছিলেন নিজের স্বপ্ন সফল করতে।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কফি উইথ কর্ণের শোয়ে পরিচালক-প্রযোজককের বিরুদ্ধে স্বজন-পোষণের অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। সেই নিয়ে চলেছে বহু বিতর্কও। তবে এসব কিছুরই কোনও প্রভাব নেই কঙ্গনার ওপর। কারণ, তিনি যা বলেছেন, তাঁর থেকে অভিনেত্রী একচুলও সরে আসেননি। এখন তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন। নিজের ছবি নিজেরই প্রযোজনা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

এরপরই তিনি তারকা-সন্তানদের কথা উল্লেখ করে বলেন, একজন মানুষকে জীবনে সাফল্য পেতে গেলে কম করে দশ বছর লড়াই করতে হয়। কখনও কখনও সারাটা জীবন লড়াই করেও সাফল্যকে ছুঁতে পারে না মানুষকে। ছবির জন্যে দর্শক এবং সমালোচক তৈরি হতে দশ বছর লাগে। বর্তমানের তারকা-সন্তানরা জানেও না, লড়াই কাকে বলে? মন্তব্য কঙ্গনার।

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পর্দায় আসছে হনসল মেহেতা পরিচালিত ‘সিমরান’ ছবিটি। এছাড়া ‘মণিকর্ণিকা-দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’তেও দেখা যাবে কঙ্গনার ম্যাজিক।