মুম্বই: বিতর্ক চলছিলই। আমির খান ও কিরণ রাওয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে এবার মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাউত। ইসলাম ধর্মের বিবাহ ও সন্তানের ধর্ম নিয়ে আমিরকে বিঁধলেন বলিউডের 'কুইন'। প্রশ্ন তুললেন আমির পুত্রের পরিচয় নিয়েও।
আজ নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্টেটাস দেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি লেখেন, 'পঞ্জাবি পরিবারে এক ছেলেকে হিন্দু হিসেবে বড় করা হয়, অন্য জনকে শিখ ধর্ম অনুসারে বড় করা হয়। কিন্তু আমির খান স্যরের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনায় আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম। হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিরণ রাও ও আমির খানের ছেলে শুধুমাত্র মুসলমান পরিচয় পেল কেন? যদি একই পরিবারে নাস্তিক, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, রাধাস্বামী মতে বিশ্বাসী একত্রে বসবাস করতে পারেন, তবে কোনও মুসলিমকে বিয়ে করলে নিজের ধর্ম বদলাতে হয় কেন?’
প্রসঙ্গত, আমির ও কিরণের ছেলে আজাদের পুরো নাম আজাদ রাও খান। অর্থাৎ বাবা ও মা, দুজনের পদবিই ব্যবহার করে সে। কঙ্গনা অবশ্য মুসলিম ধর্মের বিরুদ্ধে তোপ দেগে লিখেছেন, ‘সময়ের সঙ্গে আমাদের মানসিকতাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। সব ধর্মের মধ্যে একমাত্র ইসলাম ধর্মের মানুষকে বিয়ে করলেই ধর্মান্তরণের রীতি বন্ধ করতে হবে।’
সদ্যই ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার কথা ঘোষণা করেছেন আমির খান ও কিরণ রাও। শনিবার বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণ করেন তাঁঁরা। এরপরেই তোলপাড় পড়ে যায় বলিউডের অন্দরমহল থেকে শুরু করে অনুরাগীদের মধ্যে। কেন এই সিদ্ধান্ত তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয় কারও কাছেই। উঠে এসেছে সম্পর্কের জল্পনাও। একটি যৌথ বিবৃতিতে আমির এবং কিরণ লেখেন, ‘বিগত ১৫ বছরে আমরা জীবনের আনন্দে বহু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছি। বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর ভালবাসাই ছিল আমাদের সম্পর্কের বুনিয়াদ। এবার আমরা জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছি, তবে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়। দায়িত্ববান অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমরা যৌথভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিছুদিন আগেই। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম। আলাদা একটি বৃহত্তর পরিবারের মতোই আমরা পরষ্পর জীবনযাপন করব। আজাদের প্রতিও আমরা সমানভাবে দায়িত্ব পালন করব।’