লন্ডন: উইম্বলডনে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন নোভাক জকোভিচ। স্ট্রেট সেটে ক্রিশ্চিয়ান গ্যারিনকে হারিয়ে দিলেন বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা। খেলার ফল সার্বিয়ান তারকার পক্ষে ৬-২,৬-৪,৬-২। ২৫ বছরের চিলির ক্রিশ্চিয়ান জোকারের অভিজ্ঞতার সামনে হার মানতে বাধ্য হন। এই নিয়ে উইম্বলডনে দ্বাদশবারের মত কোয়ার্টারে জায়গা করে নিলেন জকোভিচ। ম্যাচের পর জকোভিচ বলেন, ‘ফরাসি ওপেন জয়ের পর মনোবল অনেক বেড়ে গিয়েছে আমার। দু’টো পাঁচ সেটের খেলা খেলেছি। আমার কেরিয়ারের একটা বিশাল বড় অ্যাচিভমেন্ট ছিল ফরাসি ওপেন জয়। আর পেছনে ফিরে তাকাতে রাজি নই। পরের চ্যালেঞ্জের জন্য আমি প্রস্তত।’ ফরাসি ওপেনের ফাইনালে গ্রিসের স্তেফানোস তিতিপাসকে হারিয়ে কেরিয়ারের ১৯ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন নোভাক জকোভিচ।


অন্যদিকে ১৯৪৮ সালের পর হাঙ্গেরির প্রথম টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন মার্টন ফুচোভিচ। এছাড়াও ১৯৮১ সালের পর যে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামেও হাঙ্গেরির কোনও প্রতিযোগী কোয়ার্টারে উঠলেন। রাশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে এদিন পাঁচ সেটের কড়া টক্কর হয় ফুচোভিচের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসেন হাঙ্গেরির প্রতিযোগীই। খেলার ফল ফুচোভিচের পক্ষে ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬, ৬-০, ৬-৩। প্রথম সেট জিতে নেওয়ার পর, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটে ফিরে আসেন রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু পরের তিন সেটে টানা জিতে ম্যাচ বের করে আনেন ফুচোভিচ। তবে কোয়ার্টারে এবার শক্ত প্রতিপক্ষ। জকোভিচের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ফুচোভিচকে।


মেয়েদের বিভাগে বিশ্বের ১ নম্বর অ্যাশলে বার্টি তাঁর কেরিয়ারে প্রথমবারের জন্য উইম্বলডনের কোয়ার্টারে জায়গা করে নিলেন। তিনি এবারের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন বারবোরা ক্রেচিকোভাকে হারিয়ে দিলেন স্ট্রেট সেটে। টানা ১৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ছিলেন বারবোরা। কিন্তু তা আর অক্ষত রাখতে পারলেন না এই ম্যাচে। বার্টি জয় পেলেন ৭-৫, ৬-৩ ব্যবধানে। ম্যাচ জয়ের পর বার্টি বলেন, ‘বারবোরার জন্য দারুণ একটা বছর এটা। তবে আমি সঠিক সময় ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। যা আমার জন্য দরকার ছিল।’