মুম্বই : যেখানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিনয়ের সুরে ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহার করলেন তিন কৃষি আইন, সেখানে, পদ্মশ্রীপ্রাপ্তা কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন ঝাঁঝালো আক্রমণ করতে। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন কেউ কেউ, কেউ আবার বলছেন ভোটের কথা মাথায় রেখে চাপের মুখে পদক্ষেপ ! সেখানে কঙ্গনা প্রতিবাদী কৃষকদের জিহাদি বলে আক্রমণ করলেন। 

কঙ্গনার রানাউতের মন্তব্য, “খুবই দুঃখজনক বিষয়। লজ্জাজনক এবংঅসমীচীন ঘটনা। সরকারের করা নিয়ম অমান্য করে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন তৈরি করতে শুরু করে, তাহলে তারা তো জিহাদির সমান। অভিনন্দন সেইসব লোকেদের, যাঁরা এটা চাইছিলেন।” কঙ্গনার এই ঝাঁঝালো আক্রমণে ফের সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মতামত ভাগ করে নেন তিনি। আজ ইন্দরা গাঁধীর ১০৪ তম জন্মদিন। তাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কঙ্গনা আরেকটি স্টোরি পাবলিশ করেব। সেখানে তিনি ইন্দরা-স্মরণ করেই আবার প্রতিবাদীদের কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা আরও বলেন, “যখন দেশের মানুষের চেতনা যখন চলে যায়, তখন লাঠি দিয়েই একমাত্র ঠান্ডা করা সম্ভব। না হলে এদের আটকাতে দরকার স্বৈরতন্ত্র” । 




দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।  এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার খেতে ফিরে আসুন। 


২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা।  এই ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শুরু করেন রাহুল গাঁধী।  গত ১৪ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন, এই আইন আগামীদিনে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্র। ১৯ নভেম্বর ঠিক তাই হল।  দেশের অন্যান্য বিরোধী দলও সরব হয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়। 


আরও পড়ুন :


পদ্মশ্রী পাওয়ার পরই বিস্ফোরক কঙ্গনা রানাউত