মুম্বই: কর্ণ জোহর বলেছিলেন, তিনি ভিকটিম কার্ড আর উওম্যান কার্ড ব্যবহার করে পার পেতে চাইছেন। জবাবে কঙ্গনা রানাওয়াত স্পষ্ট করে দিলেন, কর্ণের সব অস্ত্রশস্ত্রের মুখের মত জবাব তাঁর তূণীরে রয়েছে। কঙ্গনা প্রশ্ন করেছেন, উওম্যান কার্ড আর ভিকটিম কার্ড ঠিক কী? কর্ণ কি চেষ্টা করছেন, একজন মহিলাকে তাঁর মহিলা অস্তিত্ব নিয়ে লজ্জা দিতে? উইম্বলডন বা অলিম্পিক পদক জেতায় বা জাতীয় পুরস্কার জয়ে মহিলা কার্ড সাহায্য করবে না ঠিকই কিন্তু ভিড়ে ঠাসা বাসে লেডিজ সিটে জায়গা পেতে কোনও অন্তঃসত্ত্বাকে ওই কার্ড সাহায্য করে। তাঁর বোন রঙ্গোলির ওপর অ্যাসিড হামলা হয়েছিল। তখন বিচার পেতে আদালতে ভিকটিম কার্ড ব্যবহার করায় দোষের কিছু ছিল কী?


কঙ্গনা দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন, তিনি দরকারমত প্রতিটি কার্ড খেলেন। কাজের ক্ষেত্রে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে কাজ করে ব্যাডঅ্যাস কার্ড। যখন বিশ্বের মুখোমুখি, তখন ডিগনিটি কার্ড। আবার পরিবারের সঙ্গে লাভ কার্ড। বোঝা দরকার, এই লড়াই কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, মানসিকতার বিরুদ্ধে। তাঁর যুদ্ধ কর্ণ জোহরের বিরুদ্ধে নয়, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন ‘বলিউড ইন্ডাস্ট্রি যদি এতই খারাপ হয়, ছেড়ে চলে যাও’, কঙ্গনাকে পাল্টা কর্ণ জোহর

কঙ্গনার কথায়, এখন কর্ণ যখন একটি শিশুকন্যার বাবা, তখন তাঁর উচিত, তার হাতে ওই মহিলা কার্ড ও ভিকটিম কার্ড তুলে দেওয়া। পাশাপাশি দেওয়া স্বনির্মিত স্বাধীন নারী কার্ড। এবং অবশ্যই ব্যাডঅ্যাস কার্ড যা তিনি বার করেন কফি উইথ কর্ণ-এ। যখন যে কার্ড দরকার সেটাই ব্যবহার করতে হবে, যাতে কেউ আমাদের ভিত নাড়ানোর চেষ্টা না করতে পারে।

জোহর বলেছিলেন, তিনি কঙ্গনাকে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার জায়গা দিয়েছেন। বলিউডের কুইন-এর জবাব, এই মন্তব্যের মাধ্যমে শিল্পী হিসেবে তাঁকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। কর্ণের টিম তাঁর ডেট চেয়ে মাসের পর মাস অনুরোধ করে। তারপর সময় বার করতে পারেন তিনি। কর্ণ যে বলেছেন, চাইলে তিনি কঙ্গনার মন্তব্য এডিট করে বাদ দিতে পারতেন, তার জবাবে কঙ্গনা বলেছেন, প্রতিটি চ্যানেলই টিআরপি চায়। আর কর্ণ তো স্রেফ একজন পয়সা দিয়ে ভাড়া করা সঞ্চালক মাত্র!

তাঁর কথায়, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ কর্ণের ছোট্ট স্টুডিও নয়, যা তাঁর বাবা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ভারতীয় সিনেমা সক্কলের, প্রতিটি ভারতীয়র। তাঁর মত যাঁরা বাইরের মানুষ, তাঁরই মত যাঁদের বাবা মায়ের সন্তানকে অভিনয় শেখানোর সামর্থ্য নেই, তাঁদেরও। তিনি নিজের ক্ষমতায় কাজ শিখেছেন, নিজের পয়সায় নিউ ইয়র্কে গিয়ে কোর্স করেছেন। তাই তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার কথা বলার অধিকার কারও নেই। মিস্টার জোহর, নিশ্চিন্ত থাকুন, কঙ্গনা কোত্থাও যাচ্ছেন না।