কলকাতা: আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে তাঁকে বিমানবন্দরে বিভিন্ন পোশাকে দেখা যাচ্ছে। তবে এবার এই 'এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন' ট্রেন্ডকে বিদায় জানালেন বলিউডের কুইন। অভিনেত্রীর মতে এই ট্রেন্ড  উচ্চ-বিত্ত মানুষের জন্য়ই। এতে শুধুমাত্র বিদেশি ডিজাইনারদের পকেট ভরে।


তিনি লেখেন, 'এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন' ট্রেন্ড গা ভাসিয়ে নিজেদেরকে আমরা শুধুমাত্র মূর্খ প্রমাণ করি। এতে আমরা কেবল আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের পকেট ভরাতে পারি।”





তিনি আরও লেখেন, “এয়ারপোর্ট ফ্য়াশন শুধুই বিম্বো বানানোর জন্য। এই ট্রেন্ড  হয়তো আমাকে ফ্যাশনিস্তা হিসাবে আরও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রচার করতে উত্সাহিত করবে। কিন্তু এতে আমার নিজের লোকেরা যেমন তাঁতি এবং হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা ধীরে ধীরে আরও পিছিয়ে পড়ে। এতে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ধাক্কা খায়।


আরও পড়ুন...


London Tour : যামিনী রায়, সত্যজিৎ রায়, গুরু দত্ত, পণ্ডিত রবিশঙ্করের উজ্জ্বল উপস্থিতি ব্রিটিশ মিউজ়িয়ামে; নজর কাড়বে কালী মূর্তিও


কিছুদিন আগে, বলিউডে বেতন বৈষম্য় নিয়ে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা।  তিনি লেখেন, "এটা সত্যি যে মহিলারা আমার আগে এই পিতৃতান্ত্রিক নিয়মের কাছে নতি স্বীকার করেছিল। বেতনের সমতার জন্য আমিই প্রথম লড়াই করেছিলাম এবং এটি করতে গিয়ে আমি (Kangana Ranaut )। জঘন্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমার সমসাময়িকরা বিনামূল্যে কাজ করারও প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি বেশিরভাগ  প্রথমসারির মহিলা অভিনেত্রীরা বিনামূল্যে কাজ করতে বাধ্য় হয়।"


কঙ্গনা (Kangana Ranaut )। লিখেছিলেন যে তিনিই একমাত্র মহিলা অভিনেতা যিনি পুরুষ অভিনেতাদের সমান পারিশ্রমিক পান। ইন্সটা পোস্টে অভিনেত্রী (Kangana Ranaut )।বলেন, "চলচ্চিত্র শিল্পে সবাই জানে যে আমি কেবল পুরুষ অভিনেতাদের মতো পারিশ্রমিক পাই এবং যা অন্য় কেউ পায় না।" 


উল্লেখ্য়, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বলিউড ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গেও সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। বলিউড কুইন তাঁর ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন,'প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে দল বানিয়েছিল বলিউডের একাংশ, এঁদের মধ্য়ে অন্য়তম পরিচালক কর্ণ জোহর। প্রিয়ঙ্কাকে একজন স্বপ্রতিষ্ঠিত মহিলাকে এই মানুষগুলো বলিউড ছাড়তে বাধ্য় করেছিল।'


কঙ্গনা এখানে কর্ণ জোহর ও শাহরুখের প্রসঙ্গও তুলেছিলে। জানিয়েছিলেন, কর্ণ এবং শাহরুখ বন্ধুত্বের কথা সবসমই তুলে ধরা হয়, কিন্তু এঁদের সঙ্গে মিলে মুভি মাফিয়ারা দুর্বল বহিরাগতদের কোণঠাসা করে দেয়, এবং প্রিয়ঙ্কাকে ক্রমাগত হয়রানি করা হচ্ছিল। আর এই কারণেই ভারত ছাড়তে বাধ্য় হন তিনি।'