কঙ্গনার টিমের ট্যুইটার হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, ভারত সরকারকে কেজেও-র পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নিতে বলছি। প্রকাশ্যে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমায় ভয় দেখিয়ে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে বলেন উনি, সুশান্তের কেরিয়ারে অন্তর্ঘাতের চক্রান্ত করেছেন, উরির সময় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছেন আর এখন আমাদের সেনার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ছবি বানিয়েছেন।
কর্ণকে তাঁর শো কফি উইথ কর্ণ -এ কঙ্গনার ‘স্বজনপোষণের পতাকাবাহক’ বলে কটাক্ষ করা দিয়েই দুজনের বিতর্কের সূত্রপাত। সুশান্তের মৃত্যুর পর সেই বিতর্ক উসকে দিয়ে কঙ্গনা দাবি করেন, বলিউডের একটা সুবিধাভোগী শ্রেণি সুশান্তকে ব্রাত্য করে রেখেছিল। কঙ্গনাদের ট্যুইটে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন বৈমানিক গুঞ্জন সাক্সেনার সহপাঠী ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (অবসরপ্রাপ্ত) শ্রীবিদ্যা রাজনের একটি ট্যুইটও উদ্ধৃত করা হয়েছে যাতে ‘গুঞ্জন সাক্সেনা-দি কার্গিল গার্ল’-এর নির্মাতারা তথ্য বিকৃতি ঘটিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে ছবিটির প্রযোজক কর্ণের ধর্মা প্রোডাকশনস, গত সপ্তাহে সেটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।
কঙ্গনার দাবি, তাঁকে ‘স্বজনপোষণের মাথা’, মুভি মাফিয়া বলার পর ২০১৭-র মার্চে লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে কর্ণ তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যদি মনে করেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এত অন্যায় সয়েছেন, তবে তার উচিত তা ছেড়ে দেওয়া। প্রত্যেকবারই আপনি নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত বলতে পারেন না, যিনি কীভাবে ইন্ডাস্ট্র্রির খারাপ দুনিয়ায় কীভাবে সন্ত্রস্ত, নির্যাতিত হয়েছেন, সেই দুঃখের কাহিনি শোনাবেন।
কঙ্গনার আরও দাবি, কর্ণ নিজের সেরা বন্ধু আদিত্য় চোপড়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুশান্তের কেরিয়ারে অন্তর্ঘাত করেছেন। কর্ণ সুশান্তকে ড্রাইভ-এর জন্য সই করান, কিন্তু ছবিটা নেটফ্লিক্সে ‘ছুঁড়ে ফেলে দেন’, গোটা দুনিয়ায় প্রচার করে দেন, একটা ‘ফ্লপ স্টার’কে নিয়ে করা ছবির ক্রেতা খুঁজে পাননি তিনি।
কঙ্গনার দাবি, উরি হামলার পর কর্ণ পাকিস্তানকে সমর্থন করেন, নিজের পরিচালিত শেষ ছবি অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এ পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানকে নেন। ছবিটি ২০১৬-র সেপ্টেম্বর উরি হামলার আগে শেষ হলেও তাতে পাকিস্তানি শিল্পীকে নেওয়ার জন্য লোকে ক্ষেপে ওঠে, ছবিটির মুক্তি নিষিদ্ধ করার দাবি করে। তখন কর্ণ ক্ষমা চেয়ে ভিডিও প্রকাশ করে জানান, ফের কখনও পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে কাজ করবেন না।
পাশাপাশি ‘গুঞ্জন সাক্সেনা-দি কার্গিল গার্ল’-কে পুরুষ বায়ুসেনা অফিসারদের নেতিবাচক ভাবে দেখানোর অভিযোগে দেশবিরোধী ছবি বলেও তোপ দাগেন কঙ্গনা। এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনাও সেন্সর বোর্ডকে চিঠি লিখে ছবিটিতে তাদের ‘অযাচিত ভাবে নেতিবাচক চেহারা’য় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
Kangana Ranaut wants government to take back Karan Johars Padma Shri, claims he openly intimidated her, made anti-national film