মু্ম্বই: শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে দীপিকা অভিনীত ‘ছপাক’। অ্যাসিড আক্রমণের শিকার লক্ষ্মী অগ্রবালের জীবনকাহিনি বলবে মেঘনা গুলজারের ছবিটি। ছবি মুক্তির আগেই চর্চা বিস্তর। তার কারণ অবশ্যই বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছবির বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা ও জেএনইউ আন্দোলনকারীদের কাছে দীপিকার পৌঁছে যাওয়া। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে দীপিকার হাজির হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গেরুয়া শিবির থেকে উঠেছে দীপিকার ছবি বয়কট করার ডাকও।
এই পরিস্থিতিতে কঙ্গনা রানাউতের বোন রঙ্গোলি চান্দেল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দিলেন তাঁর উপর যে অ্যাসিড হানা করেছিল, তার নাম।
রঙ্গোলি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে কঙ্গনা বলছেন তাঁর বোনের উপর অ্যাসিড হানার কথা, তাঁর কষ্টের কথা, লড়াই করে ফিরে আসার কথা। সেই সঙ্গে ‘ছপাক’-এর সাফল্য কামনা করেন তিনি। শুভেচ্ছা জানান রঙ্গোলিও।

একসময় এই দুই বোনই দীপিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। ওই ট্যুইটে কমেন্ট করতে গিয়েই, এক ট্যুইটেরেটি, এই ঘৃণ্য কাজ যে করেছে, তার নাম প্রকাশ করতে বলেন।



এই প্রশ্নের উত্তরে রঙ্গোলি শুধু আক্রমণকারীর নাম জানিয়েই থামেননি। বলেছেন, তার সম্পর্কে অনেক কথা।
রঙ্গোলি লিখেছেন,
হাই অর্জিতা,
আমার উপর অ্যাসিড আক্রমণ করেছিল অবিনাশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। আমার সঙ্গে একই কলেজে পড়ত সে। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কলেই ছিল সে। সে আমায় প্রপোজ করে। আমার তেমন কোনও অনুভূতি ছিল না বলে, আমি তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করি। একদিন সে লোকজনদের বলল, আমায় বিয়ে করবে...
দেখুন রঙ্গোলির সেই উত্তর।




রঙ্গোলি আরও বলেন, যখন তাঁর বাবা-মা এক এয়ারফোর্স অফিসারের সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেন, সেই সময় ছেলেটি আরও মরিয়া হয়ে ওঠে। অ্যাসিড হানার হুমকি দেয়। রঙ্গোলি সেইসব বিশেষ গ্রাহ্য করেননি। মা-বাবাকে জানাননি, পুলিশকেও খবর দেননি। তারপরই একদিন রঙ্গোলি যেখানে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন, সেখানে পৌঁছায় ওই ব্যক্তি। রঙ্গোলি দরজা খুলতেই পাত্রভর্তি অ্যাসিড ছুড়ে দেয় তাঁর মুখে।
রঙ্গোলির মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা শুনে নেটিজেনরা তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা করেন ও সমবেদনা জানান। তাঁকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার উতসাহ দেন অনুরাগীরা।