নয়াদিল্লি: মাত্র ২১ বছর বয়সে অভিনেত্রীর মৃত্যু। কারণ প্লাস্টিক সার্জারি (Plastic Surgery)। শুনে অবাক লাগলেও এভাবেই প্রাণ হারালেন কন্নড় অভিনেত্রী (Kannad Actress) চেতনা রাজ (Chethana Raj )। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে আজ প্রাণ হারালেন কন্নড়ের ছোটপর্দার অভিনেত্রী।
ঠিক কী ঘটেছিল?
সোমবার, ১৬ মে 'ফ্যাট ফ্রি' প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চেতনাকে। এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। প্রক্রিয়া শুরু হতেই তরল জমতে শুরু করে অভিনেত্রীর ফুসফুসে। এরপর তাঁকে বাঁচানোর প্রচুর চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীর অভিভাবকরা চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন।
'গীতা', 'ডোরেসানি' ইত্যাদি ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন চেতনা রাজ। ১৬ মে তিনি বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরে 'ফ্যাট ফ্রি' প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী গোটা ঘটনা ঘটেনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যানেস্থেটিস্ট মেলভিন এবং প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন যে বাকি ডাক্তাররা তাঁদের সঙ্গে, চেতনাকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কাডে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং চিকিৎসকদের হুমকি দেন যে তাঁকে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি হিসাবে চিকিৎসা করার জন্য।
ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা সিপিআর শুরু করে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চেষ্টা করা সত্ত্বেও চেতনাকে বাঁচানো যায়নি। বাসবেশ্বরানগর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানিয়ে আইসিইউ ইনটেনসিভিস্ট ডাক্তার সন্দীপ বলেন যে পৌনে সাতটায় চেতনাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর অভিযোগ, 'শেট্টিস কসমেটিক সেন্টার'-এর ডাক্তাররা আগে থেকেই জানতেন যে চেতনা মারা গেছেন।
আরও কী কী জানা যাচ্ছে?
সূত্রের আরও খবর, এই প্লাস্টিক সার্জারির কথা বাবা-মাকে জানাননি অভিনেত্রী। বন্ধুদের সঙ্গেই হাসপাতালে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেতনার আত্মীয় রাজাপ্পা বলেন, 'চেতনা আমার ছোট ভাইয়ের মেয়ে এবং ও কন্নড়ল ধারাবাহিকে অভিনয় করছিল। শেট্টি হাসপাতালে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে যায়। ওই হাসপাতালে আইসিএই নেই এবং সার্জারি করা হয়। সার্জারির পর ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে ওর। তারপর ওকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে জানানো হয় যে ওকে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছে।'
চেতনার অকালমৃত্যুতে চেতনার পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুরা, সহকর্মীরা সকলেই হতভম্ব। নেমেছে শোকের ছায়া।