নয়াদিল্লি: মৃত্যুশোক থেকে যেন মুক্তিই পাচ্ছে না বলিউড। শুক্রবার বয়ে আনল আরও এক নক্ষত্রপতনের সংবাদ। প্রয়াত হলেন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রযোজক গিল্ডের সিইও কুলমিত মাক্কার।
শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। লকডাউনের জেরে হিমাচলপ্রদেশের এক ধর্মশালায় আটকে পড়েছিলেন কুলমিত। সেখানেই মৃ্ত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, হৃদরোগের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৬০ বছর।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রযোজক কর্ণ জোহর ও অশোক পন্ডিত।
টুইট বার্তায় অশোক পন্ডিত জানান, 'জেনে খুব দুঃখিত হলাম, আমাদের প্রিয় বন্ধু সহকর্মী কুলমিত মাক্কার আর নেই। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসার্স গিল্ডের সিইও প্রয়াত হয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তোমার কথা খুব মনে পড়ছে।পরিবারের প্রতি সমবেদনা'।
কুলমিতের মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন কর্ণ জোহরও। নিজের ট্যুইটার থেকে কুলমিতের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘কুলমিত তুমি অসাধারণ একজন মানুষ ছিলে, প্রোডিউসার্স গিল্ডে তুমিই ছিলে আমাদের সবার শক্তির উৎস...ইন্ডাস্ট্রির ভালোর জন্য তুমি সারাক্ষণ চিন্তা করতে,সবটা উজাড় করে দিতে..খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে...তোমাকে আমাদের বড্ড মনে পড়বে। ভালো থেকো বন্ধু’।
২০১০ সালে গিল্ডের সিইও পদ পান কুলমিত। তিনি বহুদিন ধরে মুম্বইয়ের বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সারেগামা, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের সিইও ছিলেন তিনি। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন হনসাল মেহেতা, ফারহান আখতার, সঞ্জয় সুরি-সহ বলিউডের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ত্বরা।
সূত্রের খবর, লকডাউনে ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরদের জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাক্কার। অনেকদূর কাজও এগিয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ শেষ না করেই চলে গেলেন গিল্ড সিইও। সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কুলমিত মাক্কার। বহু বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে টেলিভিশন এবং ফিল্ম সংস্থাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন কুলমিত। ইরফান খান, ঋষি কাপুরের পর বলিউডের কাছে কুলমিত মাক্কারের প্রয়াণে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হল বলিউড।