কলকাতা: প্রাক্তন স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে কার্যত অন্তরালেই ছিলেন তিনি। ব্য়বসায়ী সঞ্জয় কপূরের (Sunjay Kapur) প্রয়াণের পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি করিশ্মা কপূর (Karishma Kapoor)। কোনো মাধ্যমেই তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অবশেষে আজ পাপারাৎজিদের সামনে এলেন করিশ্মা। সাদা পোশাক, ক্যামেরার দিকে কার্যত তাকালেনই না তিনি। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে চড়ে বসলেন গাড়িতে। কোথায় যাচ্ছেন তিনি?
দীর্ঘ জটিলতা কাটানোর পরে আস করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। নাগরিকত্ব কিছু জটিলতা থাকায় মৃত্যুর একেবারে সঙ্গে সঙ্গেই হতে পারেনি সঞ্জয়ের। প্রায় ৬ দিন পরে আজ বিকেলেে দিল্লিতে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। আর সেই শেষকৃত্যে যোগ দিতেই দুই ছেলে মেয়ে, সামাইরা ও কিয়ানকে নিয়ে মুম্বই থেকে রওনা দিয়েছেন করিশ্মা। এদিন গাড়ি থেকে নেমেই মুম্বইয়ের কালিনা বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে ঢুকে যান তিনি। আজ দেহ দাহ করা হবে সঞ্জয়ের। এরপরে ২২ জুন তাজ প্যালেস হোটেলে সঞ্জয়ের একটি স্মরণসভা রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সঞ্জয়ের পরিবার ও বন্ধুরা। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে করিশ্মা আপাতত দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে কয়েকটা দিন দিল্লিতেই থাকবেন। ইতিধ্যেই পরিবারের তরফ থেকে শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে, সেখানে রয়েছে করিশ্মার দুই সন্তানের নাম।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে একটি জল্পনা যে করিশ্মার বড় মেয়ে সামাইরা যাকি সঞ্জয়ের ব্যবসা সামলাতে পারেন। সঞ্জয়ের ৩ ছেলে মেয়ের মধ্যে সামাইরাই সবচেয়ে বড়। তিনি সাবালিকা। করিশ্মার সঙ্গে সঞ্জয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অন্যদিকে পিয়া সচদেবের সঙ্গে সঞ্জয়ের এক ছেলে ও রয়েছে। যদিও সঞ্জয় কপূরের কোম্পানির তরফ থেকে স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়েছে সঞ্জয় কপূরের কোনোও সন্তানই এখন ব্যবসা সামলানোর জন্য তৈরি নয়। এমতাবস্থায়, বোর্ড অফ ডিরেক্টরস মিলিতভাবে কোম্পানির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। বর্তমানে কোম্পানির দায়িত্ব ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও বিবেক বিক্রম সিংহের-এর হাতে রয়েছে।
২০০৩ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিবাহ হয়েছিল। ২০১৬ সালে লম্বা আইনি লড়াইয়ের পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এখন ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আলাদাই থাকছিলেন করিশ্মা। অন্যদিকে সঞ্জয় বিয়ে করেছিলেন মডেল পিয়া সচদেবকে। সুখী দাম্পত্য ছিল তাঁদের। তবে সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আর বিবাহ করেননি করিশ্মা কপূর। বৃহস্পতিবার দুপুরেই আমদাবাদে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক প্লেন দুর্ঘটনার কথা শুনে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট ও করেছিলেন সঞ্জয় কপূর। কিন্তু তখন সম্ভবত তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি যে আমদাবাদ ফ্লাইট দুর্ঘটনার দিনটি তাঁর জীবনেরও শেষ দিন হবে।