নয়াদিল্লি: স্বপ্নের নায়ক নায়িকার সঙ্গে দেখা করতে কে না চায়! অনেক সাধারণ মানুষই একেবারে উন্মত্তের মতো নিজের প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে থাকেন। তবে সেই মোহে অনেক সময়েই অনেকে খুইয়ে বসেন সর্বস্ব (Fraud)। ফের তেমনই এক ঘটনার উল্লেখ মিলল। এমনই এক ঘটনা ঘটল কার্তিক আরিয়ানের (Kartik Aaryan) এক অনুরাগীর সঙ্গে। অভিনেতার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার কাছ থেকে ৮২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।

Continues below advertisement

ঠিক কী ঘটেছে?

কার্তিক আরিয়ানকে প্রচণ্ড পছন্দ করেন, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করা হল এক মহিলার সঙ্গে। এক প্রতারক 'চন্দু চ্যাম্পিয়ন' অভিনেতার নাম নিয়ে তাঁর সঙ্গে ওই মহিলা অনুরাগীকে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যার বদলে তাঁর থেকে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। 

Continues below advertisement

দেশজুড়ে কার্তিক আরিয়ানের অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। আপাতত তিনি অপেক্ষায় তাঁর নতুন সিনেমা 'চন্দু চ্যাম্পিয়ন'-এর। সেই অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে, আলাপ করতে প্রায় 'যা খুশি' করে বসলেন তাঁর অনুরাগী। এই ফ্যানের সেই আবেগের সুযোগ নিল এক প্রতারক। মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই মহিলাকে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করানোর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৮২ লক্ষের অধিক টাকা হাতিয়ে নিল। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষ্ণা শর্মা নামে ওই প্রতারক গোরেগাঁওয়ের বাসিন্দা। সে ঐশ্বর্যা নামের মহিলার থেকে ৮২.৭৫ লক্ষ টাকা হাতান ২০২২ সালে। ২৯ বছর বয়সী ওই প্রতারক ঐশ্বর্যাকে বলে যে তিনি যদি 'লভ ইন লন্ডন' নামক ছবিতে বিনিয়োগ করেন তাহলে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করানোর সুযোগ করে দেবে সে। আম্বোলি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কৃষ্ণা শর্মাকে, এবং জানা গিয়েছে এর আগেও এই ধরনের প্রতারণার কাজ সে করেছে। তার বিরুদ্ধে আম্বোলি, ভাকোলা, মুম্বই বিমানবন্দর, দিল্লির কনট প্লেসের থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। 

আম্বোলি থানার এক অফিসার জানান, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত, ওই প্রতারক ঐশ্বর্যার থেকে ৮২.৭৫ লক্ষ টাকা আদায় করেছে। কয়েক ধাপে ঐশ্বর্যা ওই টাকা দিয়েছিলেন, যা তাঁকে প্রোডাকশনের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। ঐশ্বর্যা যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে লেখেন, 'ওই ব্যক্তি (অভিযুক্ত কৃষ্ণা শর্মা) কোনও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেনি এবং আমার থেকে টাকার পর টাকা নিতে থাকে, এবং যখন আমি তা ফেরত চাই হঠাৎই উধাও হয়ে যায়।'

আরও পড়ুন: 'Panchayat': 'পঞ্চায়েত' খ্যাত রিঙ্কি এখন আলোচনায়, অভিনেত্রীর সানভিকার আসল নাম জানেন?

এই ঘটনায় পুলিশের এক বিশেষ দল তৈরি হয় অভিযোগ দায়েরের পর। তদন্ত চলিয়ে বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে কৃষ্ণাকে আটক করে ক্রাইম শাখা। তার সঙ্গে আটক করা হয় আরও ৩ সহযোগীকে। একটি দল তৈরি করে চেন্নাই, দিল্লি ও মুম্বইয়ের একাধিক মানুষকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়েছে তারা। আদালতের হেফাজতে রয়েছে এখনও তারা। 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।