সামনে সেই স্বপ্নের মানুষ। স্বপ্নের আসনে বাংলার মেয়ে রুনা সাহা। শোয়ের নাম 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি' (KBC 12)। হটসিটে তিনি। যে সিটে পৌঁছানোটা একপ্রকার ভাগ্য হিসেবেই ধরে নেন অনেকে। অনেক ধাপ পেরিয়ে শো অবধি পৌঁছালেও খেলতে হয় 'ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফার্স্ট'। কিন্তু রুনাকে খেলতে হয়নি সেটাও। কিন্তু তিনি পৌঁছে গেছেন অমিতাভ বচ্চনের সামনে রাখা সিট-টিতে। এইভাবে হটসিটে পৌঁছালেন এই প্রথম কোনও প্রতিযোগী।

কী করে ঘটল এই অসম্ভব ঘটনা? রুনার এই সিটে বসার স্বপ্ন সেই কেবিসির প্রথম বছর থেকেই। কিন্তু হতে-হতেও হয় না। ৪৩ বছর বয়সী রুনাকে এর জন্য নানা হাসি-বিদ্রুপের শিকারও হতে হয়েছে বহুবার। তাতে রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়ে গেছেন তিনি। তাই এবার আর নিজের পরিবারকেও জানাননি রুনা। হটসিটে পৌঁছে তবেই জানিয়েছেন পরিবারকে।



বৃহস্পতিবার তিনিই ছিলেন শেষতম প্রতিযোগী। হটসিটে পৌঁছতে না পেরে তিনি কাঁদতে শুরু করেন। তাঁকে এভাবে ভেঁঙে পড়তে দেখে অমিতাভ তাঁকে হটসিটে ডেকে নেন।

অমিতাভ তাঁকে ডেকে বলেন, কাঁদার সময় নয় এটা। একটি টিস্যুও এগিয়ে দেন। তিনি জানান, এবার যদি হটসিট অবধি না পৌঁছতে পারতেন, তাহলে টিভি দেখা ছেড়ে দিতেন, আর ভগবানকেও ডাকতেন না কোনওদিন।
বরাবরই নিজের কিছু করার স্বপ্ন ছিল রুনার। কম বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। ইচ্ছে হত, কিছু দান-ধ্যান করেন। কিন্তু স্বামী বলে দিয়েছিলেন, দান করতে হলে নিজে কিছু করো। তারপরই শুরু করেন শাড়ির ব্যবসা। জানান রুনা।