কলকাতা: ইতিমধ্যেই একসঙ্গে শ্যুট করে ফেলেছেন বেশ কিছু বিজ্ঞাপন। আগামীতে পরিকল্পনা রয়েছে ছবিরও। সদ্য শ্যুটিং সেরে আসা বিজ্ঞাপন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, তুলিকা বসু ও পরিচালক নীল দাশগুপ্ত। এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অভিনয় জীবন ও সুপ্ত ইচ্ছা নিয়ে মজার উত্তর দিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী।


বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা হয়েছিল। রাজা খরাজ আর রানি তুলিকা। নীলের ঝকঝকে চিত্রনাট্যতে একদিনেই শ্যুটিং সারা। কাজ করে খুশি রাজা-রানি দুজনেই। এর আগে বিরাট কোহলি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মত নামী তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন নীল। খরাজ বলছেন, 'তুলিকা সেটে থাকলে কেউ মনখারাপ করে থাকতে পারবে না। ও নিজে যেমন খুশি থাকে, তেমনই সেটে সবার মনও ভালো করে দেয় হেসে, গল্প করে। আর নীল এত সুন্দর করে সবটা বুঝিয়ে দেয়, কাজের ভীষণ সুবিধা হয় তাতে।' সহমত তুলিকাও। বললেন, 'নীল এত গুছিয়ে কাজ করে আর চটপট সব কিছু মিটিয়ে ফেলে.. গোটা অভিজ্ঞতাটাই ভালো। খুব মজা করে কাজ হয়েছে আর সবটাই হয়েছে কোভিড বিধি মেনে।'


বিজ্ঞাপনে খরাজ ও তুলিকার চরিত্র একজন রাজা ও রানির। এবিপি লাইভের তরফে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, যদি বাস্তব জীবনে খরাজ ও তুলিকা রাজা-রানি হতেন, তাহলে কী করতে চাইতেন? প্রশ্ন শুনেও সবার মুখে চওড়া হাসি। খরাজ বললেন, 'আমাদের পেশাটাই এমন যে কোনও কিছু হওয়ার সাধ অপূর্ণ থাকে না। আমি রাজার ভূমিকায় অভিনয় করেছি, আবার ফকিরের ভূমিকাতেও। আমরা রোজ মুখে রঙ মাখি। নতুন নতুন চরিত্র সাজি। আমাদের রোজ হোলি। আর শুধু রাজা কেন, অভিনয় করতে গিয়ে আমি রানিও সেজেছিলাম।' খরাজের কথায় হেসে উঠলেন সকলেই। হাসি থামিয়ে বাকি উত্তর দিলেন তুলিকা। বললেন, 'আমি যদি রানি হতাম, লকডাউন শব্দটাকেই ভ্যানিস করে দিতাম।'


অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির আঁচ যে বিজ্ঞাপনী জগতের ওপর এসে পড়েছে সেই কথা জানালেন নীল। বললেন, 'বিজ্ঞাপনী জগৎ আর্থিক-সামাজিক পরিস্থিতির একটা প্রতিবিম্ব। সবার মত ক্ষতির মুখ দেখেছে এই জগতটাও।' শত প্রতিবন্ধকতা থাকলেও, পরিচালক নীল মুম্বই পাড়ি দিতে চান না। বরং কলকাতায় থেকেই বাংলার মানুষদের নিয়ে কাজ করতেই আগ্রহী তিনি।