কলকাতা: 'আমি মানিকদার ভক্ত ছিলাম, ভক্ত আছি, ভক্ত থাকব'। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের মঞ্চ থেকে বাংলায় এমনটাই বললেন 'বিহারিবাবু' শত্রুঘ্ন সিনহা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন চলচিত্র উৎসবের। সেখানেই বিশেষ অতিথি ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলিউডের দাপুটে অভিনেতা শত্রুঘ্ন রাজনীতির ময়দানেও রয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সদ্য আসানসোল থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে ফের সংসদে ফিরেছেন। মঞ্চ থেকেই আসানসোলের দায়িত্ব দেওয়ার জন্যে মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ।
সোমবার উদ্বোধন হওয়া কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সিনেমা ও টেলিভিশন জগতের প্রায় সব তারকা-অভিনেতা। উপস্থিত ছিলেন চলচিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।
বাংলার কথা:
এদিন শত্রুঘ্নর বক্তব্যে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলার কথা। সিনেমার সঙ্গে যুক্ত বিখ্যাত বাঙালি ব্যক্তিত্বের কথা। তিনি জানান, বাংলার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেক পুরনো। সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেক পুরনো। অভিনেতা-সাংসদ বলেন, 'আমি জীবনে আড়াইশোটা বা তারও বেশি সিনেমা করেছি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি শিক্ষণীয় হিসেবে যদি বলা যায় তাহলে আমি বলব সেই সিনেমা হল গৌতম ঘোষের সঙ্গে করা অন্তর্জলী যাত্রা।' সিনেমার জগতে বাঙালি চিত্রপরিচালক ও অভিনেতাদের অবদান নিয়ে বারবার প্রশংসার কথা উঠে এসেছে তাঁরা বক্তব্যে।
শিক্ষাও বাংলা থেকেই:
সিনেমা জীবনের একেবারে প্রথম দিকের কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। এফটিআইআই-এ কোর্সের সময় কলকাতা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এখানে এসে মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায়ের কাছেই অভিনয়ের শিক্ষা নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'এঁদের কাছে শিক্ষা পেয়েছি। এঁরাই আমার শিক্ষক।' উৎপল দত্ত, পাহাড়ি সান্যালের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ-এরও ভূয়সী প্রশংসা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
পরামর্শ:
সিনেমার উন্নতির জন্য আলাদা মন্ত্রী বা আলাদা দফতর তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। চলচিত্র শিল্পের উন্নতির জন্যই এমন পদক্ষেপ দরকার, বলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও পড়ুন: 'অরণ্যের দিনরাত্রি দিয়ে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু', আপ্লুত সন্দীপ রায়