কলকাতা: রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম হোক বা আধুনিক বাংলা গান 'ও চাঁদ', সুরের ছোঁয়ায় অনায়াসেই আসর জমিয়ে ফেলেন তিনি। বর্তমান বাংলা গানের জগতের পরিচিত মুখ, পরিচিত গায়ক তিনি। ছোটবেলায়, যখন তিনি গানের কিছু বুঝতেনই না, তখনও তাঁর মন খারাপ করে দিত একটা গানের সুর। 'একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে'। আজ এই গানের গায়কের জন্মদিন। কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমারের জন্মদিন। যে সঙ্গীতশিল্পীর গান ঘিরে ছিল ছোটবেলা, বড় হয়ে গানের জগতে তাঁকেই চিরকালীন শিক্ষক বলে মনে হয়েছে রুপঙ্কর বাগচীর।


জন্মের ৯০ বছর পর আজও কেন প্রাসঙ্গিক কিশোর কুমার? এবিপি লাইভের প্রশ্ন শুনে একটু হাসলেন রূপঙ্কর। তারপর মোবাইল ফোনের ওপার থেকে বললেন, 'এই যে... আপনি ফোন করছেন। কিশোর কুমারের জন্মদিনের দিন সংবাদমাধ্যমের ফোন আসছে.. অর্থাৎ মানুষ এখনও কিশোর কুমারকে নিয়ে জানতে আগ্রহী। উনি যে আজও প্রাসঙ্গিক এটাই তো তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আলাদা করে আমার আর কিছু বলার প্রয়োজনই নেই বোধহয়।'


দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত রুপঙ্কর। কিন্তু এখনও কিশোর কুমারের গান শুনলে মনে হয়, হাজার রেওয়াজ করলেও ওই গলা, ওই সুর পাওয়া অসম্ভব। সুরের পথে চলার প্রেরণা দেয় কিশোর কুমারের জীবনের বিভিন্ন গল্প। রুপঙ্কর বলছেন, 'আমার খুব প্রিয় গান 'বড়ি শুনি শুনি হ্যায়' গানটি। ওনার গান যতবার শুনি, মনে হয়, যতই রেওয়াজ করি না কেন, কিশোর কুমারের মত গলা পাব না। ছোটবেলায় খুব মনে আছে, একটা গান শুনে মন খারাপ হত। 'একদিন পাখি উড়ে যাবে আকাশে'। তখন গানের কিছুই বুঝতাম না। এখনও যখন ওই গানটা শুনি, কেমন যেন মন খারাপ করিয়ে দেয়। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় গান, ফির ওহি রাত হ্যায়'।


সম্প্রতি বিভিন্ন ছবিতে প্লেব্যাকের কাজে ব্যস্ত রুপঙ্কর। মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর বেশ কিছু ছবিও।