মুম্বই: মৃত্যুর প্রায় দু মাস আগে মারাঠি গান রেকর্ড করেছিলেন কেকে (KK Death Anniversary) । যা থাকবে আসন্ন মারাঠী সিনেমা 'আমব্রেলা'-য়। কেকে-র মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এই গানটি প্রকাশ করেছে টিম 'আমব্রেলা'। 






স্বাভাবিকভাবেই আজ কেকে-র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তা প্রভাব ফেলবে অনুরাগীদের। কেকে-র গাওয়া এই শেষ মারাঠি গানটি কম্পোজ করেছেন সন্তোষ মুলেকার। গানের নাম, 'একান্ত হাওয়া।' প্রসঙ্গত, জীবনকালে শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলেগু, মারাঠি,কন্নড়-সহ একাধিক ভাষাতেই গান গেয়ে গিয়েছেন কেকে। কিশোরকুমার গান থেকে তিনি পছন্দ করতেন।  ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, ১১ টি ভাষায় তিনি সাড়ে তিনশোরও বেশি জিঙ্গল গেয়েছেন।  


৯০ দশকে কেকে-র গাওয়া সেই বিজ্ঞাপনের গানের মধ্যে রয়েছে একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা, নামজাদা একটি দাঁতের মাজনের কোম্পানী। পাশাপাশি ক্রিকেট ওয়াল্ড কাপ ১৯৯৯ এ 'জোশ অব ইন্ডিয়া' গেয়েছিলেন। একটি হিন্দি সিরিয়ালের টাইটেল ট্র্যাক। এবং টেলিভিশন শো 'জাস্ট মহাব্বতের টাইটেল ট্র্যাক'। এই ৫ টি গান গেয়েই তিনি হৃদয় জিতিছিলেন ৯০ দশকে সারা দেশের।


প্রসঙ্গত, গান গাইতে এসে চিরতরে গলা থেমে গিয়েছিল কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে-র (Singer KK Death)। সেই যন্ত্রণা আজও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তিলোত্তমাকে। শৈশব থেকে কৈশোরের প্রতিট অনুভূতি ছুঁয়ে গিয়েছেন যিনি, নিজের শহরে সেই কেকে-কে হারানোর যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছে শহর কলকাতার তরুণ-তরুণী থেকে যুবক-যুবতীদের।


গত ৩১ মে, দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে (Nazrul Mancha) ছিল  কেকে-র শেষ অনুষ্ঠান। একটি কলেজের ফেস্টে মূল আকর্ষণ ছিলেন তিনি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে টানা পারফরম্যান্স। গান গাইতে গাইতেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন তিনি। সেদিন রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরে হোটেলে ফিরে যান।  হোটেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


কেকে-র অকাল প্রয়াণে স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিতে কেকে-র সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, 'ফের ছবি আঁকতে চেষ্টা করলাম। মিস ইউ সুইটহার্ট।' উল্লেখ্য, জ্যোতি কৃষ্ণর সঙ্গে কেকে-র সম্পর্ক সেই ছোটবেলার। তাঁরা যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়েন, সেই সময় তাঁদের প্রথম দেখা হয়। তারপর প্রেম। এবং ১৯৯১ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের রয়েছে দুই সন্তানও। স্ত্রীর জ্যোতি, ছেলে নকুল কৃষ্ণ কুন্নথ এবং মেয়ে তামারা কুন্নথকে রেখে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন কেকে।