কলকাতা: কলকাতায় প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী কে কে। নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠানে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হোটেল ফেরার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। পরপর দু’দিন কলকাতায় অনুষ্ঠান করেন কে কে। আজ সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে নজরুল মঞ্চে,  উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি গান গাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যান তিনি। তারপর তাঁকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


জনপ্রিয় ছিলেন সব বয়সের শ্রোতাদের কাছেই


১৯৬৮-র ২৩ অগাস্ট, দিল্লিতে জন্ম কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। সঙ্গীত দুনিয়ায় কেকে নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। কিরোরি মল কলেজের প্রাক্তনী কে কে নিজের গানের জাদুতেই অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয় জয় করেছেন। বলিউডে বহু প্লে-ব্যাক করেছেন। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, মারাঠী ভাষাতেও বহু গান গেয়েছেন। ইন্ডিয়ান পপ, রক মিউজিকে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন কেকে।


মোদির টুইট:
সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত। সব বয়সী মানুষের জন্য তিনি গান গেয়েছেন। তাঁর গানের মাধ্যমে তাঁকে আমরা মনে রাখব। তাঁর পরিবার ও তাঁর ফ্যানদের সমবেদনা। ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।


জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শোকজ্ঞাপন


জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, '২৭ বছরের বন্ধু। আমার প্রথম ছবি থেকে গান গেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার খুব কাছের বন্ধু।' কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বারবার বলতে থাকেন, 'আমার খুব কাছের বন্ধু।' কে কে-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনুপম, ইমন, সুরজিৎ, বিক্রম ঘোষের মতো শিল্পীরা।