মুম্বই: গত কয়েক বছরে বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটিটাকে বেশ শক্ত করে ফেলেছেন অভিনেত্রী কৃতী শ্যানন (Kriti Sanon)। বলিউডের তাবড় নায়কদের বিপরীতে অভিনয়ের পাশাপাশি 'মিমি' ছবিতে তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শক থেকে সমালোচকদের। এক কথায় এই ছবি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি। আর এই ছবি দিয়েই বলিউডের সফল নায়িকাদের তালিকায় বেশ উপরের দিকে নাম খোদাই করে ফেলেছেন কৃতী। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁকে বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। আর সেই অভিজ্ঞতাও ছিল ভয়ঙ্কর।


'হিরোপন্থী' ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় কৃতী শাননের। ২০১৪ সালে পরিচালক সাব্বির খানের ছবিতে প্রথমবার দেখা যায় অভিনেত্রীকে। বিপরীতে টাইগার শ্রফ। এরপর একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন কৃতী। কখনও 'দিলওয়ালে', কখনও 'বরেলি কি বরফি', আবার কখনও 'লুকা ছুপি' কিংবা 'হাউজফুল ৪'। দর্শকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃতী শ্যানন বলেন, 'একবার আমাকে বলা হয়েছিল আমার ঠোঁট নাকি ঠিকঠাক নয়। অদ্ভূত দেখতে লাগে নাকি। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি কেন এমন বলা হয়। তাই আমি বদলানোর চেষ্টাও করিনি। আমাকে এমনও বলা হয়েছিল যে আমার নাকটা ঠিক নয়। আমি যখন হাসি, তখন দেখতে নাকি ভালোলাগে না। শরীর সম্পর্কে এমন অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয় আমাকে। কিন্তু আমি তো কোনও প্লাস্টিকের পুতুল নই। তাই হতেই পারে নানা খামতি আছে আমার মধ্যে। তবে, আমি সেগুলো নিয়েই খুশি। আর আমি মোটেই তা বদলানোর প্রয়োজন অনুভব করি না।'


আরও পড়ুন - Akshay Twinkle Wedding Anniversary: বিবাহবার্ষিকীতে মজাদার কথপোকথন অক্ষয়-টুইঙ্কলের, হাসি চাপতে পারলেন না অনুরাগীরা


কৃতী আরও বলেন, 'অনেকেই বলেছিল আমার নাকি আঠালো ধরনের হাসি। কী করব বলুন, আমি এগুলো নিয়েই জন্মেছি। অনেকেই আমাকে বলেন এটা বদলে নাও ওটা বদলে নাও। কোমরের অপারেশন করাও ঠোঁটের অপারেশন করাও। আমি এগুলো অনুভব করি না একেবারেই।'


গত বছর কৃতী শ্যাননের 'মিমি' এবং 'হম দো হমারে দো' ছবি দুটি মুক্তি পায়। দুটি ছবিতেই অভিনয় দক্ষতায় প্রশংসিত হন তিনি। অভিনেত্রীকে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে প্রভাসের 'আদিপুরুষ' ছবিতে। এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে বরুণ ধবনের বিপরীতে 'ভেড়িয়া', অক্ষয় কুমারের সঙ্গে 'বচ্চন পাণ্ডে', কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে 'শেহজাদা' এবং অনুরাগ কাশ্যপের নাম না ঠিক হওয়া একটি ছবি।