কলকাতা: ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন নিজের নাচের স্কুলের লক্ষ্মীপুজো। অন্যদিকে বিয়ের এই প্রথম বছর, বিখ্যাত চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মীপুজোতেও তাঁর কাজ রয়েছে বৈকি। দুই বাড়ির পুজোর কাজ সামলে ক্লান্তি নেই, বরং উত্তেজনা তুঙ্গে। তিনি, অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। গত ডিসেম্বরেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। একসময় যে আসনে বসে বাড়ির লক্ষ্মীপুজো সেরেছেন উত্তমকুমার, তরুণ কুমার, এখন পারিবারিক রীতি মেনে সেই দায়িত্ব সামলান গৌরবই।


সকাল থেকে নিজের নাচের স্কুলের লক্ষ্মীপুজো নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। তবে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির বৌমারাই লক্ষ্মীপুজোর ঘট স্থাপন করেন। নির্দিষ্ট সেই দায়িত্ব পালন করেই নিজের বাড়ির পুজোয় এসেছেন দেবলীনা। সন্ধ্যেবেলায় উপস্থিত থাকবেন চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয়। 


এমনিতেই পুজোর কাজ করতে বেশ পছন্দ করেন দেবলীনা। এবিপি লাইভকে তিনি বলেন, 'আমি সবরকম পুজো নিয়েই বেশ এক্সাইটেড থাকি। পুজোর কাজ  করতে আমার খুবই ভাল লাগে। আর এই বছর যেহেতু দুই বাড়িরই দায়িত্ব খানিক করে সামলাতে হচ্ছে তাই অন্যরকম একটা ভাল লাগা আছে।'


অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের জন্যও বিখ্যাত দেবলীনা কুমার। ২০১১ সালে শুরু করেছিলেন নিজের স্বপ্নের নাচের স্কুল - Lai Haraoba। বিগত ১০ বছর ধরে সেখানে বেশ বড় করেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন অভিনেত্রী। থিম করে, মণ্ডপ তৈরি করে পুজো হয় প্রত্যেক বছর। সেই সঙ্গে থাকে এলাহি ভোগের আয়োজন। 'আমাদের বাড়ির ভোগে থাকছে পোলাও, লুচি, সাত রকমের ভাজা, ছোলার ডাল, আলুর দম, ছানার কালিয়া, নাড়ু, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি। আর সবটাই বাড়িতে বানানো হয়।'


 






চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মীপুজো মানেই সকলের জন্য অবারিত দ্বার। কিন্তু করোনা আবহে কি কোনও বিশেষ বিধিনিষেধ থাকছে? দেবলীনার কথায়, 'এবারে আলাদা করে কাউকে সেভাবে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তবে পুজোর বাড়িতে কেউ এলে তাঁকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।'


এবছর বিয়ের পর বাড়ির বউ হিসেবে প্রথম চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় অংশ নেবেন। ফলে নতুন নতুন কী দেখতে পাবেন সেই নিয়ে বেশ উত্তেজিতই শোনাল অভিনেত্রীকে।


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর রাতে বাড়ির উঠোনে উত্তমকুমারের সিনেমা চলত: গৌরব