মুম্বই: 'কেবল গান নয়, ওঁর থেকে জীবনযাপন শিখেছিলাম', লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar)  প্রয়াণে বললেন কুমার শানু (Kumar Shanu)। এবিপি আনন্দের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সুর সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা। 


সঙ্গীতের জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর। নক্ষত্রপতনের খবর শুনে শোকস্তদ্ধ কুমার শানু। এবিপি আনন্দকে বললেন, 'লতাজীর থেকে কেবল গান শিখিনি, ওঁর থেকে জীবনযাপন শিখেছিলাম। ওঁর মৃত্যুতে মনে হয় মাথার ওপর থেকে মা চলে গেলেন। গতকাল সরস্বতী পুজো হল আর আজ সুরের জগতের সরস্বতী চলে গেলেন। আমি ওনার সঙ্গে অনেক গান গেয়েছি। প্রথম গান একসঙ্গে গেয়েছিলাম, 'পেয়ার তুম মুঝসে করতে হো'। এখনও মনে আছে উনি এত সাহস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন গান ভালো হয়েছে। আমাদের কাছে লতাজী সরস্বতী। মনে হয়েছিল, উনি যখন বলছেন, তাহলে সত্যি সত্যি ভালো গান গেয়েছি। ভিতর থেকে সাহস পেয়েছিলাম ওই কথাটায়। উনি বলেছিলেন, শানু তুমি খুব সুরে গাও। এমন করেই গান গাইতে থাকো। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আমার জীবনে আর কিছু হতে পারে না।'


আরও পড়ুন: ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’, শুনে কান্না ধরে রাখতে পারেননি নেহরুও


অন্যদিকে, রবিবার সুর সম্রাজ্ঞীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই টেলিফোনে এবিপি আনন্দকে নিজের প্রতিক্রিয়া জেনে ফেলেন হৈমন্তী শুক্লা। সুর সম্রাজ্ঞীর কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, ‘‘উনি স্বয়ং মা সরস্বতী ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলার, ওঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। আমরা বুঝি, মানুষ চিরকাল থাকে না। কিন্তু উনি তো মানুষ ছিলেন না! দেবী ছিলন। দেবী সরস্বতী।’’


সুর সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি টেনে আনেন হৈমন্তী শুক্লা। বলেন, ‘‘এক মঞ্চে গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এক বার মেদিনীপুরে এবং এক বার দুর্গাপুরে গেয়েছিলাম। বলেছিলেন, এখনও গান গাইতে উঠলে নাকি হাত—পা ঠান্ডা হয়ে যায় ওঁর। আমি শুনে অবাক হয়েছিলাম। বলে ছিলাম, কী বলছ দিদি? আর এক বার একটা গান শেষ করে ফিরে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন ‘হৈমন্তী, ঠিক গাওয়া হয়েছে তো?’ কী বলব বুঝে উঠতে পারিনি।’’