মুম্বই: প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। গত ৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকে ছিলেন ICU-তেই। তাঁর প্রয়াণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে।
গতকাল লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়ার পরই দিদিকে দেখতে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বোন আশা ভোঁসলে। আশা ভোঁসলে ছাড়াও, চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, সুপ্রিয়া সুলে এবং রশ্মি ঠাকরেকেও লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান। এর আগে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরেও হাসপাতালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। লতাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। লতাকে দেখতে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন মধুর ভান্ডারকর।
গত ৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৭ দিন ধরে তিনি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সকালে জীবনাবসান হয় সুর সম্রাজ্ঞীর। করোনার সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গায়িকা। চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল তাঁর। বের করা হয়েছিল ভেন্টিলেশন থেকেও। তবে ফের তাঁর ফের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইসিইউ-তে। গতকাল রাত থেকেই শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল তাঁর।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন খ্যাতনামা মরাঠী, কোঙ্কনী সঙ্গীতশিল্পী এবং নাট্যশিল্পী। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবার কাছেই গানের তালিম শুরু হয় ছোট্ট লতার। ১৯৪১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গায়িকা হিসেবে পথ চলা শুরু হয় লতা মঙ্গেশকরের। ৩৬টিরও বেশি ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। রেখে গেলেন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি এবং লক্ষ লক্ষ অনুরাগীকে। একের পর এক সাফল্যের সোপান তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন অবলীলায়। হয়ে উঠেছেন ভারতের নাইটিঙ্গল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বড় হয়েছে তাঁর গান শুনে। আর সঙ্গীত জগতের নক্ষত্রপতনে শোকের ছায়া সুরের জগতে।