মুম্বই: হিন্দি ছবির জগতে তাঁর আবির্ভাব খলনায়ক হিসেবে। কিন্তু খুব অল্প সময়েই হয়ে উঠেছিলেন ম্যাটিনি আইডল। এক সময় মহিলা অনুরাগীদের হার্টথ্রব ছিলেন বিনোদ খন্না। 

৩ বছর আগে কর্কট রোগ কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। শেষ বয়সে সুদর্শন পুরুষটির ছবি দেখে মন ভেঙে গিয়েছিল ভক্তদের। মারণ রোগ কেড়ে নিয়েছিল অনেক কিছুই। শেষ ছবি শাহরুখের সঙ্গে দিলওয়ালে। 

চলচ্চিত্র জগতে তাঁর যাত্রা শুরু গুরু দত্তের মন কি মিতছবি দিয়ে। গুরু দত্তের কাছে ছবির প্রস্তাব পেয়ে বাড়ি এসে বাবাকে বলতেই সে কী কাণ্ড। রুপোলি জগতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক-না-থাকা এক পরিবারের ছেলে তিনি। সিনেমায় অভিনয় করবে ছেলে, শুনে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েছিলেন বাবা। তবু ছবি করা থেকে বিরত হননি তিনি। সেই সিনেমায় সুনীল দত্ত ছিলেন নায়ক, বিনোদ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। 

১৯৭১ সাল নায়ক হিসাবে 'হম তুম অউর ওহ' সিনেমায় ব্রেক পান বিনোদ খন্না। এরপর একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন বিনোদ খন্না। ঝুলিতে রয়েছে ১৫০ টিরও বেশি ছবি। আছে অজস্র পুরষ্কার। 

কেরিয়ারের একেবারে সোনার সময়েই সবকিছু ছেড়ে ধর্মের পথে পা বাড়িয়েছিলেন। ধার্মিক ভাবনায় আকৃষ্ট হয়ে তিনি বহুদিন  আমেরিকায় রজনীশপুরমে গিয়ে থাকেন। সেই সময় পরিবার থেকেও  আলাদা হয়ে যান বিনোদ।  স্ত্রী গীতাঞ্জলির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। সেই পক্ষেরই দুই ছেলে রাহুল খান্না ও অক্ষয় খান্না। 

১৯৯০ সালে বিনোদ ফের কবিতা নামে একজনকে বিয়ে করেন। কবিতা ও বিনোদের  এক  ছেলে ও মেয়ে। ১৯৯৭ সালে বিনোদ খান্না বিজেপিতে যোগ দেন ও পাঞ্জাবের গুরদাসপুর আসনে ভোটে জেতেন। 

বিনোদ খন্নার বিখ্যাত ছবি গুলির কথা বলতে গেলেহেরা ফেরি, খুন পসিনা, অমর আকবর অ্যান্টনি, পরবরিশ ও মুকদ্দর কা সিকন্দর - এই নামগুলো আসবেই। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে দয়াবাননামক ছবিতে অভিনয় করেন। মাধুরীর থেকে ২০ বছরের বড় বিনোদের একটি চুম্বন দৃশ্য দর্শক মহলে শোরগোল ফেলে দেয়। তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও চর্চা হয় বিস্তর। একসময় অমৃতা সিংহের সঙ্গেও বিনোদের সম্পর্কের জল্পনায় সরগরম হয়েছিল বলিউড।