শ্রীদেবীর মতোই এই তারকাদেরও মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে
জোহরা সেহগলের ১০২ বছর বয়স হয়েছিল মৃত্যুকালে। ৬০ সালের কেরিয়ারে অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ, কোরিওগ্রাফি, নানা সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১৪-র জুলাই মাসে তিনিও হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গিয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগতকাল রাতে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন শ্রীদেবী। বলিউড তথা ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে হঠাত্ এমন বড় দুঃসংবাদ এই প্রথম নয়, এসেছে বহুবার। হার্ট অ্যাটাকে থেমে গিয়েছে আরও বেশ কয়েকজন নামী তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রীর কেরিয়ার, জীবন। শূন্যতা তৈরি হয়েছে সিনে দুনিয়ায়।
শ্রীদেবীর বয়স হয়েছিল মোটে ৫৪। শোনা যায়, নিজেকে ফিট রাখতে দিনে অন্তত ২ ঘন্টা শরীরচর্চা করতেন। তাই কী করে দুবাইয়ে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর হার্ট অ্যাটাকের খবরে স্তম্ভিত সকলে। কী করে এমনটা হতে পারে, এও সম্ভব! বলছেন তাঁরা।
রীমা লাগুকে মনে আছে? ২০১৭-র ১৮ মে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গিয়েছেন সিনেমা, টিভির নামী অভিনেত্রী। মাত্র ৫৮ বছরে। ১৯৫৮-র ২১ জুন জন্ম তাঁর। হম আপকে হ্যায় কৌন, বাস্তব, কুছ কুছ হোতা হ্যায়-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
২০১৬-র ১ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতা রজ্জক খানের। বহু বলিউডের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।
রাজেশ বিবেক। ২০১৬-র ১৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন এই নামি অভিনেতা। হায়দারাবাদে শ্যুটিংয়ের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হন। লগান-এ তাঁর অভিনয় দাগ কেটেছিল। মহাভারত সিরিয়ালেও কাজ করেছিলেন তিনি।
ওম পুরী। বলিউডের ইতিহাসে অক্ষয় থাকবে নামটা। ৬৬ বছরে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তিনিও হৃদরোগে মারা গিয়েছিলেন গত বছরের ৬ জানুয়ারি। এত অজস্র সিনেমা তাঁর ঝুলিতে আছে, কোনটা বাদে দিয়ে কোনটা বলা উচিত, বলা কঠিন। ওম পুরীর নাম এলেই উচ্চারিত হয় অর্ধসত্য, জানে ভি দো ইয়ারো, তমস-এমন বহু নাম।
২০১১-র ১৯ মার্চ হৃদরোগের শিকার হয়ে মারা গিয়েছিলেন নবীন নিশ্চল। ৬৪ বছর বয়সে বিদায় নেওয়া এই প্রবীণ বলিউড অভিনেতা পুনের এফটিআইআইয়ের প্রথম গোল্ড মেডেলিস্ট কাজ করেছিলেন বেশ কিছু সিরিয়ালেও।
৪৫ বছর বয়সে ২০১৭- র ২৮ জুলাই আকস্মিক হৃদরোগের শিকার হন অভিনেতা ইন্দর কুমার। ১৯৯৬ সালে বলিউডে তিনি পা রাখেন 'মাসুম' -এর সুবাদে। ২০-র বেশি সিনেমায় কাজ করেন তিনি। শেষ সিনেমা 'হু ইজ দি ফার্স্ট ওয়াইফ অব মাই ফাদার'।
ফারুক শেখও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ২০১৩র ডিসেম্বর। তাঁর মৃত্যু হয়েছিল দুবাইয়ে। শতরঞ্জ কে খিলাড়ী, চশমে বদদুর, ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানির মতো সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি।
দেব আনন্দ। একটা বিরাট নাম। ২০১১-র ৪ ডিসেম্বর ৮৮ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক কেড়ে নেয় তাঁকে। লন্ডনে হোটেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকের মতো অজস্র্র সম্মান পাওয়া এই মহাতারকা ১১৪-টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।
বিনোদ মেহরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১৯৯০ এর ৩০ অক্টোবর। ৪৫ বছর বয়সে। পঞ্চাশের দশকে শিশু অভিনেতা হিসাবে হিন্দি সিনেমায় পা রাখেন। তারপর কাজ করেন বহু সফল সিনেমায়।
সুচিত্রা সেন। বাঙালি হৃদয়ে সর্বকালের শ্রদ্ধার আসন পাওয়া এই অভিনেত্রীও হৃদরোগের ধাক্কায় ২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি চিরবিদায় নেন। অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই।
দেবেন বর্মা বলিউডের সেরা কমেডিয়ানদের একজন। ২০১৪-র ২ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন দেবেন। কিডনিও অকোজো হয়ে পড়েছিল। দিল তো পাগল হ্যায়, ইশক, কেয়া কহনা, দিল-এর মতো স্মরণীয় একাধিক সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে।
টিভি, রূপোলি পর্দার অভিনেতা আবির গোস্বামী মারা গিয়েছিলেন ২০১৩-র ৩১ মে। ৩৭ বছর বয়সে তাঁরও হার্ট অ্যাটাক হয়। ট্রেডমিলে দৌড়চ্ছিলেন। তার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কুসুম, পেয়ার কা দর্দ হ্যায় মোটা মোটা পেয়ার পেয়ারা -র মতো সিরিয়ালে কাজ করেছিলেন। লক্ষিত, আগলি, দি লিজেন্ড অব ভগত্ সিংহ-র মতো সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -