কলকাতা: একসময় এই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন তিনি। যে বৃক্ষের আজ টলিউডে শক্ত শিকড়, সেই চারাগাছ বেড়ে উঠেছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেই। আর এখন, নিজের তৈরি ছবি নিয়ে শিকড়েই কাছে ফিরে গেলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। নতুন ছবি 'লক্ষ্মী ছেলে' দেখানো হল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। মঞ্চে হাজির রইলেন পরিচালক স্বয়ং আর ছবির নায়ক উজান গঙ্গোপাধ্যায় (Ujaan Ganguly)।


ছবি শেষ হতেই মাইক হাতে মঞ্চে নিজের বক্তব্য রাখলেন কৌশিক। বক্তব্যে উঠে এল ছবির বিষয় থেকে শুরু করে আজও কুসংস্কার ও বিজ্ঞানের লড়াই। হাজির ছিলেন কমবেশি ১৪০০ ছাত্র। 'লক্ষ্মী ছেলে'-র গল্প মন ছুঁয়ে গেল সবারই। 


আরও পড়ুন: Koel Mallick: শ্যুটিং চলছে, হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে সংলাপ ভুললেন কোয়েল, তারপর?


উজানের দ্বিতীয় ছবি 'লক্ষ্মী ছেলে', আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় প্রথম কাজ। উজানের রূপোলি পর্দায় অভিষেক কী বাবার হাত ধরে হতে পারত না? এক সাক্ষাৎকারে এবিপি লাইভকে কৌশিক বলেছিলেন, 'উজানের অভিনয়ে আসা, সিনেমা করা কোনোটাই পরিকল্পিত ছিল না। আমি-চূর্ণী (গঙ্গোপাধ্যায়) দুজনেই রুপোলি পর্দার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। মনে হত, এত মানুষকে ফ্লোরে অভিনয় দেখাই, ছেলেকে কখনও অ্যাকশান-কাট বলব না? কিন্তু আমরা কখনও উজানের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইনি কিছু। দেশে.. তারপর বিদেশ.. উজান পড়াশোনা শেষ করল। নাটক করত, কিন্তু রুপোলি পর্দার কথা ভাবেনি। ওর থিয়েটার দেখে একবার শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আর নন্দিতা রায় আমায় বলেন, 'ওকে কিন্তু আমাদের ছবিতে কাস্ট করব। তারপর 'রসগোল্লা' হল। উজান প্রশংসা পেল, নজরে এল। তখন ওরাই আবার বলল.. এবার বাবার পরিচালনায় ছেলে। ততদিনে উজানের প্রায় সব বন্ধুই আমার সঙ্গে কাজ করে ফেলেছে। যাই হোক, 'লক্ষ্মী ছেলে' শুরু হল। উজানকে নির্দেশনা দিতে গিয়ে কাজই প্রাধান্য পেল। তবে হ্যাঁ.. একটা দৃশ্যে উজানের অভিনয় দেখে আবার অস্বস্তি হয়েছে। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। সেই দৃশ্য পরিচালনা করতে গিয়ে হয়ত পরিচালকসত্তাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল আমার বাবাসত্তা।'