মুম্বই: বয়স বাড়লেও সুস্থ-সবলই ছিলেন। হঠাৎই আত্মঘাতী হওয়ার খবর। মালাইকা আরোরার বাবার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। প্রাথমিক তদন্তে অনিল মেহতা সাততলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করছে পুলিশ। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই আবহেই মুখ খুললেন মালাইকার মা জয়েশ পলিকার্প। (Malaika Arora Father Suicide)


মালাইকার যখন ১১ বছর বয়স, সেই সময়ই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় অনিল এবং জয়েশের। কিন্তু আজ ঘটনার সময় ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন তিনি। পুলিশকে জয়েশ জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও, কয়েক বছর আগে ফের মিল হয় তাঁদের মধ্যে। সেই থেকে একই ফ্ল্যাটে বাস করছিলেন তিনি ও অনিল। (Bollywood Updates)


জয়েশ জানিয়েছেন, রোজ সকালে ব্যালকনিতে বসে খবরের কাগজ পড়া অভ্যাস ছিল অনিলের। আজ সকালে লিভিং রুমে অনিলের চটি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। চটিজোড়া ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে খোঁজ শুরু করেন তিনি। ব্যালকনিতে পৌঁছে শুনতে পান নিরাপত্তারক্ষী চিৎকার করছেন। রেলিং ধরে ঝুঁকে দেখেন, নীচে পড়ে রয়েছে অনিলের দেহ।


পুলিশকে জয়েশ জানিয়েছেন, অনিলের তেমন কোনও অসুস্থতা ছিল না। হাঁটুতে যন্ত্রণা হতো শুধু। আত্মঘাতী হওয়ার মতো কিছু ঘটেওনি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অবসাদে ভুগছিলেন অনিল। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ফলে অনিলের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। 


এদিন সকালে অনিলের মৃত্যুর কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। সবার আগে ঘটনাস্থলে দেখা যায় মালাইকার প্রাক্তন স্বামী আরবাজ খানকে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলা থেকে অন্য সবকিছু তিনিই সামলান। আরবাজের পরিবারের লোকজনরাও একে একে হাজির হন। মালাইকা পুণেতে ছিলেন। ছুটে আসেন তিনি। এসে পৌঁছন মালাইকার বোন অমৃতা আরোরাও।


মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন মালাইকার বাবা। মালাইকার যখন ১১ বছর বয়স, সেই সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাঁর মা ও বাবার। মা জয়েশের সঙ্গেই থাকতেন মালাইকা এবং তাঁর বোন অমৃতা। একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে মায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই জানিয়েছিলেন মালাইকা। তবে বাবার সঙ্গেও সম্পর্ক সহজ হয়ে গিয়েছে বলে জানান। আরবাজের সঙ্গে দাম্পত্য যখন টিকেছিল, সেই সময় একসঙ্গে প্রায়শই দেখা যেত তাঁদের। বিবাহবিচ্ছেদের পরও মালাইকার পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল আরবাজের।


আরও পড়ুন: Malaika Arora Father Suicide: বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মালাইকার বাবা, ঘটনাস্থলে আরবাজ, শুরু ময়নাতদন্ত