সহ তারকাদের অন্তরঙ্গ হতে অস্বীকার করায় অনেক সিনেমায় সুযোগ দেওয়া হয়নি, চাঞ্চল্যকর দাবি মল্লিকা শেরাওয়াতের
একটি ওয়েব সিরিজে নিজের একটা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কখা শেয়ার করেছেন মল্লিকা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে কথা বলতে ভয় পেতে। কারণ, ভাবতেন, ওরাই তাঁকে দোষী ঠাওরাতেন। বলতেন যে, নিশ্চয় এমন কিছু ব্যবহার করেছি যেজন্য পরিচালক তাঁকে এ কথা বলেছেন। মল্লিকা বলেছেন, ‘আমাদের সমাজে এভাবে নিগ্রহের শিকারকে দোষ দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে। তাই ওই বিষয়গুলি নিয়ে বলতে আমি ভয় পেতাম’।
মল্লিকা বলেছেন, ‘আমি মাথাউঁচু করে চলি। আমি আপোস করতে পারি না। আমার আত্মমর্যাদা রয়েছে। এমনও অনেক সময় হয়েছে, যখন পরিচালকরা আমাকে ফোন করে বলেছে, ভোর তিনটের সময় এসো’।
৪১ বছরের অভিনেত্রী বলেছেন, যে সিনেমাগুলি তিনি বেছে নিয়েছিলেন, সেগুলি কিছুটা ভিন্ন ধরনের। বিষয়টি তিনি জানতেন। ‘স্রোতের বিরুদ্ধে’ না গেলে আরও ভালো করতেন বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি বলেছেন, ‘’আমাকে অনেক প্রোজেক্ট থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেননা,নায়করা ভাবত, ‘আমার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে অসুবিধা কোথায়?তুমি তো পর্দায় এসব করছো, তাই আমার সঙ্গে গোপনে এসব করতে সমস্যা কোথায়?’এভাবে আমি অনেক প্রোজেক্টে কাজের সুযোগ হারিয়েছি। আসলে এটাই আমাদের সমাজের দর্পণ। মহিলাদের এ দেশে এসবেরই মুখোমুখি হতে হয়’’।
এক সাক্ষাত্কারে মল্লিকা বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ও আমার সম্পর্কে অনেক ধারনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপারটা এরকম, যেন কেউ ছোট স্কার্ট পরে, পর্দায় চুম্বন করে, তাহলে তার কোনও নৈতিকতা নেই। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল’।
২০০৪-এ মার্ডার সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছিলেন মল্লিকা। তিনি বলেছেন, সেই ইমেজ তাঁর চরিত্র সম্পর্কে মতামত দেওয়ার একটা রসদ হয়ে উঠেছিল।
এক দশক আগে পর্দায় যৌনতার খোলামেলা প্রদর্শনের মাধ্যমে বলিউডে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। কিন্তু পর্দার সেই ইমেজের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হয়েছে তাঁকে। সহ অভিনেতা থেকে শুরু পরিচালকরাও ভেবে নিয়েছিলেন যে, মল্লিকা শেরাওয়াত সহজেই আপোস করেন। এমনই দাবি করেছেন মল্লিকা নিজেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -