কলকাতা: মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni)। নতুন জীবন, নতুন নাম নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে, কেন এই পথ বেছে নিলেন মমতা কুলকার্নি? ঠিক কী কী পদ্ধতিতে হবে তাঁর পট্টাভিষেক? সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন আচার্য মহামন্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ।
এদিন আচার্য মহামন্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ বলেন, 'কিন্নর আখড়া মমতা কুলকার্নিকে মহামন্ডলেশ্বর-এ উন্নীত করবে। ওঁর নাম শ্রী যমাই মমতা নন্দগিরি রাখা হয়েছে। ওঁর পিণ্ডদান হচ্ছে। এ ছাড়াও মহামন্ডলেশ্বর এ উন্নীত হওয়ার যা যা রীতি রেওয়াজ, সবই হচ্ছে। গত দেড় বছর ধরে উনি আমার আর কিন্নর আখড়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলছিলেন। এর আগে জুনা আখড়ার মহামন্ডলেশ্বরের সঙ্গে দীক্ষা নিয়েছিলেন উনি। ওঁর গুরু ব্রহ্নলীন হওয়ার পরে, মমতা কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দু-তিন মাস আগে উনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন যে উনি সনাতন ধর্মের সঙ্গে সরাসরি ও পুরোপুরি যুক্ত হতে চান। উনি নিজেই আখড়াতে এসে বলেছিলেন, ওঁর কোনও একটা পদ চাই। মহামন্ডলেশ্বর হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা, বলেন বৃন্দাবনের আশ্রমের প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করতে চান। এই কথা শুনে ওঁর সামনে আমরা কিছু শর্ত রেখেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, ওঁকে সন্ন্যাস নিতে হবে। অন্য পৃথিবী ছেড়ে আমাদের সঙ্গে এসে থাকতে হবে। সনাতন ধর্ম কারও শিল্পের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করে না। তাই মমতাকে বলা হয়েছিল, কোনও ধার্মীক চরিত্র পেলে তিনি অভিনয়ও করতে পারেন। যাঁরাই সনাতন হতে চাইবেন, সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই ধর্ম। মমতা সম্পূর্ণভাবে সনাতন হতেই চেয়েছিলেন। যে সনাতন ধর্মাবলম্বী, কিন্নর আখাড়া তাঁদের নিজের করে নেবেই। সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসার নিয়ে মমতা কাজ করুক, এটাই আমার ইচ্ছা।'