কলকাতা: ধন্দ্ব রয়েই যাচ্ছে দুই ছবি নিয়ে। সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে। কিন্তু সেফ আলি খানের বাড়ি সদগুরু শরণ-এর সিসিটিভি ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে আর গ্রেফতারির পরে মহম্মদ শরিফুল ইসলামের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে বিস্তর অমিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তা একই ব্যক্তির কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আর এবার, দুটি ব্যক্তি এক কি না, মিলিয়ে দেখতে একটি বিশেষ পরীক্ষা করে দেখবে পুলিশ। কী সেই পরীক্ষা?
জানা যাচ্ছে, ধৃত শরিফুল ইসলামের ডিজিট্যাল ফেস রেকগনিশন টেস্ট (digital facial recognition test) করে দেখবে পুলিশ। এই টেস্টে ফ্রেম বাই ফ্রেম মিলিয়ে দেখা হবে সিসিটিভি থেকে পাওয়া ছবি ও ধৃত ব্যক্তিকে। ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে হবে এই টেস্ট। এই পরীক্ষাটি করার পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে দুটি ব্যক্তি এক কি না। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মহম্মদ শরিফুল ইসলামের বাবা দাবি করেছেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে তাঁর ছেলে। কিন্তু যাঁকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সে তাঁর ছেলে নয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের রক্তের নমুনা ও পোশাকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ডিজিট্যাল ফেস রেকগনিশন টেস্ট পরীক্ষায় মিলিয়ে দেখা হবে সিসিটিভি থেকে মেলা ছবি ও ধৃতের মুখের আদল ও গড়ন। বিভিন্ন দিক থেকে মিলিয়ে দেখা হবে মুখের আদল। সেই দুটি মিলে গেলেই নাকি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে দুটি ব্যক্তিই এক। তবে এও জানা যাচ্ছে, হামলার পরে চুল কেটে ফেলেছিল ধৃত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম। যে সময়ে সে নিজের ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখে চারিদিকে, সেই সময়ে তার মনে হল, লুকে বদল আনা দরকার। সেই কারণেই চুল কেটে রঙ করিয়ে ফেলে সে।
অন্যদিকে, জেরায় উঠে এসেছে, শরিফুল মনে করেছিলেন কিছু টাকা চুরি করে নিয়ে তিনি বাংলাদেশে পালাবেন। সেফের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে শরিফুল টাকাই দাবি করেছিলেন। তবে সেফ চলে আসার পরে শরিফুল তার ওপর হামলা চালায়। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হন সেফ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়ি ফিরলেও রয়েছেন বিশ্রামে।