ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত বছর অক্টোবরে, যখন অর্থবর্ষ ২০১৬-১৭ সালের জন্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে যান অভিনেত্রী। তিনি দেখেন অগাস্টে তাঁর আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে গেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেন অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের সাইবার দমন শাখায় অভিযোগ জানানো হয়। খুব শিগগিরই মুম্বইয়ের সাইবার দমন শাখা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গারদে ঢুকিয়ে দিল। এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি আধাসামরিক বাহিনীর কর্মী।
একইরকম অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার গত বছরই হয়েছিলেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অনলাইনে লাইভ হয়ে গিয়েছিলেন এক কিশোর।
তবে এধরনের কাণ্ড কেন ঘটালেন ২৬ বছরের সেই ব্যক্তি সে ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে। সাইবার দমন শাখার পুলিশের দাবি, হয়তো এভাবেই অভিনেত্রীর প্রতি তাঁর ভাললাগা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। তবে এরসঙ্গে চিন্তার এক টুকরো ইঙ্গিতও দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। আয়করের অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে গেলে প্যান কার্ডের বিস্তারিত তথ্য লাগে। আর প্যান কার্ডের তথ্য হাতে থাকলে আরও অনেক অ্যাকাউন্ট যেখানে আর্থিক লেনদেন হয়, সেখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রেও সেই ব্যক্তির কোনও আর্থিক লাভ হয়েছে কিনা, সেবিষয় তথ্য যাচাই করে দেখবে সাইবার দমন শাখার পুলিশ।
এমনকি করিনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডও পরিবর্তন করে দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে সেকশন ৬৬ সি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।