কলকাতা: ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে এক স্কুল তৈরির গল্প নিয়ে। আর পর্দার সেই গল্প আটকে থাকল না পর্দায়। বাস্তবের মাটিতেও তৈরি হল 'মানবজমিন' (Manobjomin)। মেদিনীপুরের এক গ্রামে কচিকাঁচাদের জন্য খোলা হল নতুন স্কুল। আর সেই স্কুলের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনে হাজির হল গোটা 'মানবজমিন' টিম।                                                                                                                                 


মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাজির হলেন 'মানবজমিন'-এর নায়িকা প্রিয়ঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar), পরিচালক শ্রীজাত (Srijato), প্রযোজক রাণা সরকার (Rana Sarkar), সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার (Joy Sarkar) ও অন্য়ান্যরা। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক জুন মাল্য (June Malliya)-ও। তাঁর হাতেই উদ্বোধন হয় এই স্কুলের।                                                                               


আরও পড়ুন: Money Laundering Case: আদালতের কাছে করা বিদেশ যাওয়ার আবেদন প্রত্যাহার জ্যাকলিনের


সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের শিলান্যাসের এই ভিডিও পোস্ট করে পরিচালক শ্রীজাত লিখেছেন, 'ছবি তৈরি করার স্বপ্ন কখনও সত্যি হতেও পারে, এই পর্যন্ত ভাবতে পেরেছিলাম। কিন্তু ছবির পর্দায় যে-স্বপ্নের কথা বলতে চাইছি, তাও যে শেষমেশ সত্যি হতে পারে, তা আমি কল্পনাও করিনি। কিন্তু 'মানবজমিন' তার মুক্তির আগেই সেই খোলা আকাশের নীচে গিয়ে দাঁড়াতে পারল। মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে কচিকাঁচাদের ছোট ছোট পা স্কুল অবধি পৌঁছতে পারে না, সেখানে স্কুল নিজেই পৌঁছে গেল তাদের কাছে, 'মানবজমিন'-এর হাত ধরে। এর আদত কৃতিত্ব বন্ধু প্রযোজক রাণা'রই, যে এই স্বপ্ন দেখার সাহস রাখে। আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু জুন পাশে না থাকলেও হতো না এসব। আর অবশ্যই 'চূণী কোটাল ট্রাস্ট'-এর সহায়তা। জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট একটা গ্রাম, আরও ছোট্ট তার ছেলেমেয়েরা। খুব শিগগির তারা পড়তে যেতে পারবে 'মানবজমিন' অবৈতনিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরে। স্বপ্ন তাহলে সত্যি হয়, যদি তার পায়ে পা মেলাতে পারি সকলে মিলে...' (অপরিবর্তিত)



এদিন খুদেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহারও।