কলকাতা: কর্মসূত্রে বর্তমান ঠিকানা কলকাতার কসবা। কিন্তু তাঁর শৈশব, বেড়ে ওঠা পাহাড়ের কোলে। অরুণাচল প্রদেশ ও জলপাইগুড়িতেই ছোটবেলা কেটেছে তাঁর। আর তাই, ছোটবেলার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেলেই কিছুতেই তা ছাড়তে নারাজ তিনি। একঝটকায় মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) যেন ১৬ বছরের কিশোরী। হাতের ছাতাকে লাঠির মত ব্যবহার করে গাছ থেকে আমলকি পাড়তে মরিয়া তিনি।


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট্ট ভিডিও ভাগ করে নিয়েছেন মিমি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি গাছের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মিমি। হাতের ছাতা দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন গান থেকে আমলকি পাড়ার। শেষমেশে পেড়েও ফেলছেন কয়েকটা। ভিডিওর শেষে আমলকি হাতে নিয়ে ছবিও দিয়েছেন মিমি। ক্যাপশানে লিখেছেন, 'পাহাড়ের কোলে বড় হওয়ার জন্য এই কাজগুলো সবসময় ভীষণ মনে পড়ে আমার। তাই যখনই বাইরে যাই আর সুযোগ পাই, ছোটবেলার মজাগুলো আবার করার চেষ্টা করি। টাটকা আমলকি পাড়ছি। আমায় কেউ হিংসা করবেন না প্লিজ।' সবশেষে মিমি জুড়ে দিয়েছেন, 'ভিটামিন সি কার না প্রয়োজন।'


এই প্রথম মৈনাক ভৌমিকের (Mainak Bhawmik) পরিচালনায় কাজ করছেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ছবির নাম 'মিনি'। বন্ধুত্বের বয়স হয় না। সমবয়সী নয়, বন্ধুত্বে বোধহয় সবচেয়ে জরুরী মনের মিল। মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় এর অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প বলতে পর্দায় আসছেন মিমি চক্রবর্তী। আর এই ছবির হাত ধরেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজনার দুনিয়ায় পা রাখছেন অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ি ও রাহুল ভাঞ্জা। ছবির সেটেও প্রায় প্রতিদিন ছোটদের মতোই মজা করেন মিমি।


শ্যুটিং ফ্লোরের টুকরো টুকরো গল্প সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরিতে ভাগ করে নেন মিমি চক্রবর্তী। কখনও মেকআপ রুমে 'তিতলি' সাজতে ব্যস্ত তিনি। আবার কখনও শ্যুটিং ফ্লোরে মার্সম্যালো নিয়ে মজা। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এমনই সব ভিডিও ভাগ করে নেন মিমি। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, একটি মার্সম্যালো ক্যান্ডির প্যাকেট নিয়ে সেটে ঘুরছেন মিমি। সবাইকেই দিচ্ছেন। অথচ সেই মার্সম্যালো খেতে রাজি নয়, সেটের সবচেয়ে খুদে সদস্যটি। অয়না চট্টোপাধ্যায়। অথচ সেই মার্সম্যালো মজা করে খাচ্ছেন পরিচালক মৈনাক থেকে শুরু করে খোদ মিমি পর্যন্ত। ভিডিও শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, 'যখন বাচ্চারা বাচ্চাদের মত ব্যবহার করে না কিন্তু আমরা বাচ্চা হয়ে যাই।'