কলকাতা: কেবল অভিনয় নয়, ছোটবেলা থেকেই তাঁর প্রথম ভালবাসা ছিল নাচ। খুব ছোট থেকেই প্রশিক্ষণ নিতেন। দোলের দিনটা তাই বন্ধুদের সঙ্গে উদ্দাম রঙ খেলা দিয়ে নয়, বসন্ত উৎসবের সকাল শুরু হত প্রভাতফেরিতে। আর এখন? দোল যে কাটাবেন, ধারাবাহিকের শ্যুটিং থেকে ফুরসত কোথায়? তাই ধারাবাহিকের সেটে বসেই ছোটবেলার দোলের স্মৃতি হাতড়ালেন মিঠাই (Mithaai) ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu), সাক্ষী রইল এবিপি লাইভ (ABP Live)।                                                                                             


দোল উপলক্ষ্যে এবিপি লাইভের পেজে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল মিঠাইয়ের উদ্দেশে। সেখানে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কেমন করে ছোটবেলার দোলের দিনটা কাটাতেন তিনি? সৌমিতৃষা বলছেন, 'আমি ছোট থেকেই নাচ শিখতাম। দোলের দিন সকালে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হত নাচের ক্লাস থেকে। নাচে গানেই কেটে যেত সকালটা। আর আমি গোপালের ভক্ত। ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়েই শুরু হত দোল। তবে বাবা-মা কখনও আমায় দোলের দিন বাড়ির বাইরে বেরতে দিতেন না। এখনও দেন না। ফলে ওই দিনটা আমি বাড়িতেই থাকি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।'                                                                                                                           


আরও পড়ুন: Anupam Roy Exclusive: যাঁর কলমে 'বসন্ত এসে গেছে', কেমন ছিল সেই অনুপম রায়ের ছোটবেলার দোল?


সদ্য বৃন্দাবন থেকে ঘুরে এসেছেন সৌমিতৃষা। পরিবারের সঙ্গে সেখানেই পালন করেছেন তাঁর জন্মদিন। তবে আফশোস রয়ে গিয়েছে সৌমিতৃষার। বর্ষানায় হোলি কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও ধারাবাহিকের কাজ থেকে ছুটি মেলেনি লম্বা। সৌমিতৃষা বলছেন, 'জন্মদিনের দিনটা অনেকেই বাবা-মাকে ভুলে যান। কিন্তু যাঁদের জন্য আমরা পৃথিবীর আলো দেখেছি, তাঁদের কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমি জন্মদিনটা বৃন্দাবনে কাটিয়েছি মা-বাবার সঙ্গে। কৃষ্ণ নাম করেছি, প্রেম মন্দিরে গিয়েছি। অনেকে বলেন, ঈশ্বর না টানলে, হাজার ধন দৌলত থাকলেও বৃন্দাবনে পা রাখা যায় না। আমি খুব ভাগ্য়বতী যে বৃন্দাবনে জীবনের বিশেষ দিনটা কাটাতে পারলাম।'