কলকাতা: ষষ্ঠ শ্রেণিতে একবারই রঙ খেলার ইচ্ছা হয়েছিল তাঁর। খেলেওছিলেন। তারপরে সেই রঙ তুলতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল, রাত। সেই শেষ। তারপরে তিনি রঙ আর বসন্তকে খুঁজে পেয়েছেন সুরে, কথায়। তাঁর গানই বলে, 'বসন্ত এসে গেছে'। সুরে, কথায় তিনি চির নবীন। এবিপি লাইভের (ABP Live)-এর সঙ্গে ছোটবেলার দোলের স্মৃতি ভাগ করে নিলেন সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় (Anupam Roy)।   


যাঁর কলমে বাঙালি পেয়েছে বসন্তের নতুন গান, কেমন কাটত তাঁর ছোটবেলার বসন্তবেলা? অনুপম বলছেন, 'খুব ছোটবেলায় আমি রঙে ভয় পেতাম। তারপরে যখন ধীরে ধীরে বয়স বেড়েছে, রঙ খেলার ওপর একটা বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়। খুব ইচ্ছা করতো, পাড়ায় সবাই যেমন রাস্তায় নেমে দোল খেলে, তেমন করে রঙ খেলি। তবে সেটা খেলেছিলামা মাত্র ১ বার। তখন ক্লাস ৬, রাস্তায় বেরিয়ে সবার সঙ্গে ভীষণ রঙ খেলেছিলাম। মাঠে, রাস্তায় ছুটোছুটি, বাঁদুরে রঙ, ভীষণ মজা করেছিলাম। কিন্তু বাড়ি এসে সেই রঙ তুলতে দুপুর থেকে বিকেল, রাত, রঙ আর ওঠে না। সে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। তারপরে অবশ্য আর দোল খেলিনি।'                                                       


আরও পড়ুন: Ditipriya Roy Exclusive: ভুল করে আবির খাইয়ে দিয়েছিল পাড়ার দাদা, প্রেমের প্রশ্নে অকপট দিতিপ্রিয়া   


প্রত্যেক বসন্তেই এখন কোথাও না কোথাও শোনা যায় 'বসন্ত এসে গেছে'। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) পরিচালিত ছবি চতুষ্কোণ (Chatuskon) মুক্তির পরেই চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল লগ্নজিতার গলায় ও অনুপমের কলমের গান 'বসন্ত এসে গেছে'। কিন্তু এই গান তৈরির পিছনেও ছিল গল্প। অনুপম বলছেন, 'একটা সময় এই গানটি এমনিই তৈরি করেছিলাম। তারপরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই গানটি ভীষণ পছন্দ হয়। তিনি চতুষ্কোণ ছবিতে গানটি ব্যবহার করতে চান। কিন্তু ছবির জন্য দরকার ছিল একটু পুরনো গানের কথার। সেই কারণেই গানটি আমি আবার লিখি। কিন্তু হুক লাইনটা ছিল সেই 'বসন্ত এসে গেছে'। লগ্নজিতার গলায় গানটি মুক্তি পায় এবং ভীষণ জনপ্রিয় হয়। এখনও মানুষ বসন্তে এই গানটা গায়। জনপ্রিয়তা কার না ভাল লাগে..  আমার ও লাগে। মানুষ আমার অনেক গানের মতো এই গানটাকে ভালবেসেছেন, সেটা ভাল লাগে আমার।'