কলকাতা: অভিনয়ের বাইরে তিনি ভালবাসেন পরিবারের সঙ্গে থাকতে। সিনেমা দেখতে যাওয়া, রেস্তোরাঁয় খাওয়া.. সব কিছুতেই তাঁর প্রিয় সঙ্গী মা। ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত মা-বাবা তাঁর অভিভাবক কম, বন্ধু ছিলেন বেশি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাই কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বাড়লেও পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। 'মাদার্স ডে'-তে তাই কোনও একজন নয়, সন্দীপ্তা সেনের (Sandipta Sen)-এর গলায় শোনা গেল, তাঁর জীবনের সঙ্গে বাবা-মা দুজনেরই বেঁধে বেঁধে থাকার গল্প।
সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সন্দীপ্তা। বাবা-মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলছেন, 'ছোটবেলা থেকে আমার বাবা-মা আমায় খুব বেশি শাসন করেছেন বা পরিচালনা করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে পড়ে না। আমায় ঠিক-ভুলটা বুঝিয়ে দিতেন, তারপর বলতেন, তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত তুমি নিজে নাও। ছোটবেলায় রাগ হত খুব, মনে হত, এত গুরুত্ব দায়িত্ব আমার ওপরেই কেন? পরবর্তীকালে, যখন সাইকোলজি পড়েছি, বুঝেছি.. এটাই সঠিক পেরেন্টিং। ওঁদের ওপর শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে। আমায় কখনও পড়াশোনা করার জন্য শাসন করেননি বাবা-মা। এমনকি, যখন পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয়ের পেশা বেছে নিয়েছি, তখনও বাড়ির তরফ থেকে কোনও বাধা পাইনি। বরং বাবা-মা বলেছেন, যেটাতে আমি ভাল থাকি, সেটাই করতে। কেরিয়ার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, ভীষণ সমর্থন পেয়েছি আমার প্রতিটা কাজেই। বাবা-মা সবসময় বলতেন, নিজে সিদ্ধান্ত নাও। ভুল হলে পড়ে যাবে, তারপর নিজেই ওঠার চেষ্টা করবে। তারপরেও না পারলে তো আমরা আছিই।'
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে। কখনও বাবা-মাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারার জন্য আফশোস হয়? সন্দীপ্তা বলছেন, 'আমি সবসময় চেষ্টা করি, বাবা-মাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার জন্য। শ্যুটিংয়ের পরে সবসময় চেষ্টা করি বাড়ি ফেরার, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর। বাবা-মায়ের অনেক বন্ধু রয়েছেন, সত্যি বলতে ওঁরা আমার থেকে তেমন সময় প্রত্যাশাও করেন না। তবে আমার নিজের খুব খারাপ লাগা থাকে বাবা-মাকে সময় দিতে না পারলে।'
মাকে দেওয়া বিশেষ কোনও উপহারের কথা মনে পড়ে? সন্দীপ্তা হেসে বললেন, 'মা-রা সবসময়, সব উপহারেই খুশি হন। আলাদা করে কিছু মনে পড়ছে না। তবে হ্যাঁ, আমি আর মা মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ি সিনেমা দেখতে বা খেতে। বাবা অনেক সময় যেতে চান না। তখন আমি আর মা বেরিয়ে বাবাকে সেলফি তুলে পাঠাই। বাবার সেটা দেখে একটু হিংসে হয়। মা তাতে ভীষণ মজা পান কিন্তু।'