মুম্বই : বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ মাদক মজুত করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল বলিউড অভিনেতা আরমান কোহলির (Armaan Kohli)। গত ২৮ অগাস্ট অভিনেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। তল্লাশিতে অভিনেতার বাড়ি থেকে স্বল্প পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন উদ্ধার হয়। সেই সময়ই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করে এনসিবি। আরমান কোহলির বাড়ি থেকে যে মাদক উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদে, কেন তাঁর বাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক রয়েছে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় তিনি গ্রেফতার হন। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রাজু সিংহ গ্রেফতার হওয়ার পরই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে অভিনেতা আরমান কোহলির নাম।
প্রসঙ্গত, তাঁর আগেও মাদক মামলায় নাম উঠে এসেছে অভিনেতা এজাজ খানের। গত ১ এপ্রিল গ্রেফতার হন তিনি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে দেওয়া বয়ানে অভিনেতা জানিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য আর এক অভিনেতা গৌরব দীক্ষিতের কাছ থেকে মাদক কিনতেন। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদে এজাজ খান এমনও জানান যে, গৌরব বলিউডের আরও অনেককেই মাদক সরবরাহ করেন। এরপরই ছোটপর্দার অভিনেতা গৌরব দীক্ষিতের বাড়ি থেকে প্যাকেটজাত অবস্থায় অনেক মাদক উদ্ধার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তারা।
৩ এপ্রিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটা দল লোখন্ডওয়ালায় গৌরব দীক্ষিতের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। যদিও অভিনেতা তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তল্লাশি চালিয়ে অভিনেতার বাড়ি থেকেও প্যাকেটজাত অবস্থায় অনেক মাদক উদ্ধার হয়। সমীর ওয়াংখেড়ে বলছেন, ‘সেই সময়ে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন গৌরব। বাড়িতে ঢোকার সময় যখন তাঁরা পুলিশের গাড়ি দেখতে পান, তখনই দু’জন সেখান থেকে পালিয়ে যান।' এরপরই শনিবার গ্রেফতার হন গৌরব দীক্ষিত।
অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই মাদক মামলায় বলিউডের যোগের বিরুদ্ধে বিশেষ সক্রিয় হয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।