কলকাতা: আজই শুভক্ষণ। আজ রাতেই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন নাগা চৈতন্য (Naga Chaitanya) ও শোভিতা ধূলিপালা (Sobhita Dhulipala)। অন্নপূর্ণা স্টুডিওতেই বসেছে তাঁদের বিয়ের আসর। প্রথমে শোনা গিয়েছিল রাজস্থানের কোনও দুর্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তাঁরা। তবে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের কথা মাথায় রেখে তাঁরা অন্নপূর্ণ স্টুডিওতেই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন। পরিবারের সবাই যাতে উপস্থিত থাকতে পারেন, আশীর্বাদ করতে পারেন তাঁদের, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের শুভক্ষণ আজ রাত ৮.১৫ নাগাদ। শোনা যাচ্ছে শোভিতার বাড়ির নিয়ম মেনেই বিবাহ সম্পন্ন হবে। আট ঘণ্টা ধরে চলবে তাঁদের বিবাহ। এরপরে রয়েছে বিশেষ রীতি।
কী সেই বিশেষ রীতি? শোনা যাচ্ছে, আট ঘণ্টা বিয়ের পরে নাকি পুজো দিতে মন্দিরে যাবেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধূলিপালা। নাগা ও শোভিতা সম্ভবত তিরুপতি বালাজি মন্দির অথবা শ্রীসাইলম মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়েই নতুন জীবন শুরু করবেন তাঁরা। এটাই নাকি বিয়ের রীতি। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সকালের যা যা নিয়মকানুন সবই পালন করা হয়েছে। শোভিতা ও নাগা চৈতন্য দুজনেই উপস্থিত রয়েছেন একসঙ্গে। আজ পরিবারকে সম্মান দিয়ে সাবেকি পোশাকে সাজবেন নাগা চৈতন্য। অন্য়দিকে রীতি মেনে সাজবেন শোভিতাও। আট ঘণ্টা ধরে বিয়ে চলার অর্থ, অনুরাগীদের তাঁদের বিয়ের ছবি দেখার জন্য লম্বা অপেক্ষা করতে হবে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের আগের অনুষ্ঠানের একাধিক ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন শোভিতা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লাল ভারি পাড়ের শাড়ি পরেছেন শোভিতা। সঙ্গে বাজুবন্ধ থেকে শুরু করে টিকলি, চোকার, ভারি দুল.. সবই পরেছিলেন তিনি। বাঙালিদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মতোই এদিন শোভিতার পায়ে হলুদ লাগানো হয়। তাঁর কপালে এঁকে দেওয়া হয় হলুদের ফোঁটা। আরতি করে আশীর্বাদ করেন বড়রা। হাতে তুলে দেওয়া হয় কাচের লাল চুড়ি। এই অনুষ্ঠানের নাম, ‘পেল্লি কুথুরু’। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘গোডুমা রায়ি পাসুপু দঞ্চদাম’-অনুষ্ঠানের ছবিও শেয়ার করে নিয়েছিলেন শোভিতা। এই অনুষ্ঠান অনেকটা বাঙালি বিয়েতে হলুদ কোটার মতোই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।