নয়াদিল্লি: প্রায় পাঁচ দশক ধরে এই বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রবীণ অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah Birthday)। ১৯৬৭ সালে, 'অমন' (Aman) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে পা রাখেন বলিউডে (Bollywood)। তবে সেই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন রাজেন্দ্র কুমার তুলি ও সায়রা বানু। তবে এরপর অগুন্তি দুর্ধর্ষ সিনেমা ও অসাধারণ অভিনয় উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। নাসিরউদ্দিন শাহ তিনবার জাতীয় পুরস্কার (National Award) ও তিনটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস (Filmfare Awards) সহ পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রীর মতো মর্যাদাপূর্ণ তকমা পেয়েছেন। নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত প্রথম সারির ছবির তালিকা তো বলে শেষ করা যাবে না। বরং ফিরে দেখা যাক অভিনেতার জনপ্রিয় ৫ কমিক চরিত্র যা তাঁর বহুমুখী প্রতিভার উদাহরণ দেয়।
'জানে ভি দো ইয়ারো' (১৯৮৩)
'জানে ভি দো ইয়ারো' নাসিরউদ্দিন শাহের কেরিয়ারের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি যা মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। এই ছবির গল্প দুই চিত্রগ্রাহক, বিনোদ ও সুধীরের। যাঁরা মুম্বইয়ে একটি ফটো স্টুডিও খোলে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের কলঙ্কিত জীবন সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেই থেকে তা প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা শুরু করে। ব্যাঙ্গাত্মক 'ব্ল্যাক কমেডি' ঘরানার এই ছবিতে বিনোদের চরিত্রে অভিনয় করেন নাসির।
'চমৎকার' (১৯৯২)
দ্বিতীয় যে ছবিতে নিজের 'কমিক টাইমিং'-এর মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি তা হল 'চমৎকার'। ১৯৯২ সালে এই ছবি মুক্তি পায়। হরর কমেডি ঘরানার ছিল এই ছবি। এই ছবিতে শাহরুখ খানের বন্ধুসুলভ 'ভূত'-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঊর্মিলা মাতোন্ডকরও।
'জানে তু ইয়া জানে না' (২০০৮)
আধুনিক যুগের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি। এই ছবিতে এক্সটেন্ডেড ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ইমরান খান ও জেনেলিয়া ডিসুজা অভিনীচ এই ছবিতে নায়কের মৃত বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি ফটোফ্রেমের মধ্যে থেকেই তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। দর্শকের অত্যন্ত পছন্দের এই ছবি।
'ইশকিয়া' (২০১০)
নাসিরউদ্দিন শাহ, বিদ্যা বালান ও আরশাদ ওয়ারসি অভিনীত ছবি 'ইশকিয়া' মুক্তি পায় ২০১০ সালে। রোম্যান্টিক ঘরানার ছবি এটি। এই ছবিতে শাহের অভিনয় দক্ষতা ও বহুমুখী প্রতিভা আজও মানুষের মনে স্থায়ী। বক্স অফিসে দুরন্ত ব্যবসা করে এই ছবি। এই ছবির দ্বিতীয় ভাগও মুক্তি পায় ২০১৪ সালে, নাম 'দেড় ইশকিয়া'।
'ওয়েলকাম ব্যাক' (২০১৫)
দুবাইয়ের ডনের ভূমিকায় নাসিরউদ্দিন শাহকে দেখা যায় এই ছবিতে। পেটে খিল ধরানোর জন্য এই ছবিতে তাঁর দৃশ্যগুলি ছিল অনবদ্য। এই ছবিতে অভিনেতা জনপ্রিয় দৃশ্য 'মজাক থা ভাই মজাক' মিমের জন্য এখনও বেশ প্রচলিত।
নাসিরউদ্দিন শাহ আজও মঞ্চ ও বড়পর্দায় একসঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বয়স ৭৩ পার করলেও, এখনও তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে 'চির নতুন'। জন্মদিনে নাসিরউদ্দিন শাহের জন্য রইল শুভেচ্ছা।