কলকাতা: এই ছবির সৌজন্যের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন পরিচালক অর্জুন দত্ত (Arjunn Dutta)। ছবিটি তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিনই, কিন্তু এখনও সেই ছবি মুক্তি পায়নি সাধারণ দর্শকদের জন্য। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে, ছবিটি নিয়ে আগ্রহ জন্মেছে অনেক সাধারণ দর্শকেরও। অবশেষে প্রযোজক কৃষ্ণা কয়াল ও ছবির পরিচালক-কলাকুশলীরা। কালার্স অফ ড্রিম এন্টারটেনমেন্টের (Colors of Dream Entertainment) প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি পাবে এই ছবি। আগামী মাসের শেষের দিকে, ২১ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা এই সিনেমা। বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা এই সিনেমার।
২০২৩ সালে এই ছবিটি তৈরি করেছিলেন অর্জুন। সিনেমার মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) ও তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tnusree Chakraborty)। সিনেমাটি ইতিমধ্য়েই একাধিক জাতীয় জায়গায় প্রদর্শিত হয়েছে। অবশেষে এই ছবিটির মুকুটে নতুন পালক জাতীয় পুরস্কার। কবিতার লাইনে ছিল.. 'সংসার না বৈরাগ্য... কী জীবন হয় ছেঁড়া পাতার?' বিচ্ছেদের পরে কী জীবন হয় ছেঁড়া সম্পর্কের? এক প্রাক্তন স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদের পরের অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন ছবি 'ডিপ ফ্রিজ' (Deep Fridge)। ছবির মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) ও তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tnusree Chakraborty)। এছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে দেবযানী চট্টোপাধ্যায় (Debjani Chatterjee), অনুরাধা মুখোপাধ্যায় (Anuradha Mukherjee), শোয়েব কবীর (Shoaib Kabeer) ও লক্ষ্য ভট্টাচার্য্য (Lakshya Bhattacharya)। ছবিতে আবিরের চরিত্রের নাম স্বর্নাভ। তনুশ্রীর চরিত্রের নাম মিলি। তাতাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে লক্ষ্যকে।
জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে, এবিপি লাইভ বাংলাকে অর্জুন দত্ত বলেছিলেন, 'নিজের মতো করেই সিনেমাটা বানিয়েছিলাম। অত প্রচার পাইনি বানানোর সময়। ইন্ডাস্ট্রিতে মুষ্ঠিমেয় মানুষই প্রচার পান। আমি সেই দলে পড়ি না। তবে নিজের মতো করেই চেষ্টা করেছিলাম। সিনেমাটি ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় সমাদৃত হয়েছে। তবে এটা প্রত্যাশা করিনি। এই সিনেমার শ্যুটিং করার সময়েই মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিরল রোগ ধরা পড়ে মায়ের। ১ বছরের মধ্যেই মা-কে হারাই। আমার মনে হচ্ছে, মা যেন পুরস্কারটা আমায় পাইয়ে দিলেন। উনি উপর থেকে কলকাঠি না নাড়লে, কিছুই হত না..' ফের যেন গলার স্বর আবেগে বুজে এল অর্জুনের। সিনেমাটি দর্শকদের জন্য মুক্তি নিয়ে কী কোনও পরিকল্পনা রয়েছে অর্জুনের? পরিচালক বলছেন, 'এখনও কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে খুব তাড়াতাড়িই দর্শকদের জন্য সিনেমাটা নিয়ে আসব। ছবিটা আমার মনের খুব কাছের। তবে এত অল্প বয়সে যে এই সিনেমাটা আমায় জাতীয় পুরস্কার এনে দেবে, ভাবিনি।'