কলকাতা: একটি নয়, ৬৭তম জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিতের তালিকায় রইল ২টি বাংলা ছবির নাম। 'গুমনামি' ও 'জ্যেষ্ঠপুত্র'। সেরা বাংলা ছবির জন্য পুরস্কৃত হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামি'। সেরা অ্যাডপটেড চিত্রনাট্যের পুরস্কারও জিতে নিয়েছে 'গুমনামি'। অন্যদিকে সেরা স্ক্রিনপ্লে অরিজিনালের পুরস্কার জিতে নিয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত 'জ্যেষ্ঠপুত্র'। এই ছবির জন্যই সেরা আবহসঙ্গীতের পুরস্কার জিতেছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুটি ছবিরই মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুই ছবিতে ৪টে জাতীয় পুরস্কারের খবর শুনে খুশি তিনিও। 


এবিপি লাইভকে প্রসেনজিৎ বলেন, 'আমি সত্যি খুব খুশি হয়েছি। এরকম একটা সময়ে আমাদের দুটি ছবি, জ্যেষ্ঠপুত্র ও গুমনামি ৪টি পুরস্কার এনেছে।  সেরা ছবি ও সেরা অ্যাডপটেড চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সৃজিত। অন্যদিকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সেরা স্ক্রিনপ্লে অরিজিনালের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা আবহসঙ্গীতের পুরস্কার জিতেছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটো ছবিতেই আমি অভিনয় করেছি। দুটোই আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গুমনামি ছবির নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের চরিত্র আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর জ্যেষ্ঠপুত্র আমার, ঋত্বিকের আর কৌশিকের একসঙ্গে করা খুব ভালো একটা কাজ। আমি এই দুটো ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারা আমার কাছে আশীর্বাদ। এটা বাংলা ছবির জয়।'


মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিল 'গুমনামি'। অভিযোগ করা হয়েছিল, বিকৃত করা হয়েছে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য়কে। যদিও পরিচালক দাবি করেছিলেন, নেতাজির অন্তর্ধানের পিছনে যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে, সেগুলিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এগুলির মধ্যে কোনটা সত্য, তা দর্শকদের বিচারের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। 'গুমনামি' মুক্তির পর অবশ্য এই ছবি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল।


৬৭তম জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলী ও সিনেমা। 'মণিকর্নিকা' ও 'পঙ্গা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সেরা সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেল সুশান্ত সিং রাজপুতের 'ছিছোড়ে'। কেসরি ছবির 'তেরি মিট্টি' গানটির জন্য সেরা গায়কের জাতীয় পুরস্কার পেলেন বি প্রাক।  মারাঠি গান 'বারদো' সেরা গায়িকার পুরস্কার পেলেন সাবানি রবীন্দ্র।