নয়া দিল্লি : "মণিকর্নিকা" ও "পঙ্গা" ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন কঙ্গনা রানাউত। আজ তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। দিল্লির বিজ্ঞানভবনে ৬৭তম ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করা হয়। 


এর আগে ‘ফ্যাশন’, ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্ন’ ও ‘কুইন’ ছবির জন্যও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কঙ্গনা। 


ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর জীবনী নির্ভর ছবি ‘মণিকর্ণিকা’। ছবিতে ঝাঁসির রানির ভূমিকায় অভিনয় করেন কঙ্গনা। ছবির সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কঙ্গনা বলেছিলেন, ঝাঁসির রানি দেশের গর্ব। ছবিতে লক্ষ্মীবাঈয়ের অপরিসীম শক্তি, সাহস ও রাজনৈতিক বুদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কঙ্গনা রানাওয়াত, লালকৃষ্ণ আডবানী, লেখক প্রসূন যোশী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।


আরও পড়ুন ; ছবিতে দেখুন : বিতর্কের মাঝেই রাষ্ট্রপতিকে নিজের ছবি ‘মণিকর্ণিকা’ দেখালেন কঙ্গনা রানাওয়াত


তবে কঙ্গনার মতোই তাঁর মণিকর্নিকা সিনেমা ঘিরেও বেশ বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। প্রথমেই পরিচালক কৃষ মাঝপথে সরে যান। এরপর কঙ্গনা সিনেমার পরিচালনার ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। এরপর সোনু সুদও মাঝপথে সিনেমা ছেড়ে চলে যান।


এই সিনেমা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে সোনু বলেছিলেন, ‘আমি কঙ্গনাকে আঘাত দিতে চাই না। ও বেশ কিছু দিন আমার ভালো বন্ধু ছিল। কিন্তু আমি যদি ওই সিনেমার ব্যাপারে কথা বলি, তাহলে আমরা বেশ কিছু অংশ শ্যুটিং করে ফেলেছিলাম। আমি পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমাকে আর শ্যুটিং করতে হবে কিনা। এর জবাবে পরিচালক বলেন, তিনি আর এই সিনেমার অংশ নন। এমনই মেল পেয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে কঙ্গনাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে, এখন ও এই সিনেমার পরিচালনা করবে। কঙ্গনা আমার সহায়তাও চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, সাহায্য অবশ্যই করব। কিন্তু পরিচালককে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, এই সিনেমা নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু কঙ্গনা আমার কথা মানেনি’।